সকাল সকাল ঘুমিয়েছিলাম
স্বপ্ন দেখবো বলে,
পাশ বালিশের এপাশ ওপাশ-
সারা দিনের দুশ্চিন্তা ভরা সময়
উদ্ভ্রান্ত স্রোতের বিপরীতে চলতে চলতে
নিস্প্রাণ চোখ ভাসে নোনা জলে।


জানি স্বপ্ন দেখা হবে না আমার।
আঁখি পল্লবে নোংড়া জমেছে,
মণি কোঠরে জমেছে একরাস বাসনা।
অতৃপ্ত হৃদয়ের ঊর্দ্ধ ধমনীতে প্রবাহিত
তপ্ত শোনিত বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত।
আমার ফুসফুস যেন এক সদ্য নিভে যাওয়া
শিখাহীন প্রদীপের ধোঁয়া-
যার আলো নেই,আছে শুধু একটু গন্ধ।
এ গন্ধে তার অস্তিত্ব বোঝা যায় কিন্তু-
দেখা যায় না।


অথর এ দেহ পড়ে থাকে নরম বিছানায়
পড়ে থাকে স্বপ্ন দেখার আশায়,তবুও
স্বপ্ন! অধরাই থেকে যায়-অনন্ত কাল!
মাঝে মাঝে মনে হয়, ছুটে যাই
ঐ স্বপ্নের দেশে-
লাগাম কষে ধরা অশ্বের মতো
দূর্বার গতিতে সব স্বপ্ন কেড়ে নিয়ে
বিলিয়ে দেব।
বিলিয়ে দেব তাদের মধ্যে-
যারা অভুক্ত হৃদয়ে চাতকের মতো
চেয়ে আছে স্বপ্নের জন্য!
আমার মতো।
কিন্তু হায়!পারিনা...


পারিনা এ কোমল সুসজ্জিত বিছানার
মায়া ছাড়তে।
দেহে আমার অকাল বার্ধক্যের ছোয়া।
মনে আমার আশঙ্খা পাপ রাজ্যের
বিশাল পাপ স্তুপে চাপা পড়ার।
কতবার হামাগুঁড়ি দিয়ে বেরিয়ে এসেছি,
পালিয়ে এসেছি জীবন হাঙ্গামার ময়দান থেকে।
মুখ লুকিয়েছি মায়ের আঁচলে-
যে আঁচলে স্বপ্ন ছিল-
ছিল হৃদয়ের ছোয়া।


আজ সে হৃদয় নেই, আঁচল নেই
স্বপ্ন নেই,
আছে শুধু-
বালিশ আর নালিশ...।


রচনাকালঃ ১১/০৪/২০১৪