ছোট বেলায় দিনগুলো
আজও মনে পড়ে,
কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে
স্কুল ঘরে।
প্রথম যেদিন গ্রামের
স্কুলে তে যাই,
মাষ্টারমশাই কাছে ডেকে
আমারে শুধাই।
নামটি তোমার কি হে?
বলো দেখি বাবু,
ভয়ে তে তখন আমি
হয়ে গেছি কাবু।
আদর করে মাষ্টারমশাই
পিঠে হাত বুলিয়ে,
বলে ফেলো নামটি তোমার
এখন নির্ভয়ে।
বললাম নামটি আমার
মাষ্টারমশাই এর কাছে,
ঠিকানাটা বলে দিলাম
যেটুকু মনে আছে।
স্কুলটা ছিল মোদের
একটি মাত্র রুম,
টিফিনে দিত মাষ্টারমশাই
চিয়ারে বসে ঘুম।
জায়গাটা কম ছিল
ছেলে মেয়ে অল্প,
মাষ্টারমশাই দুটি ছিল
করতো অনেক গল্প।
পড়ার সময় পড়াশোনা
টিফিনে করতাম খেলা,
এইভাবে কেটে যেত
স্কুলের বেলা।
কাগজ দিয়ে বানাতাম
নৌকা উড়োজাহাজ,
মুখ দিয়ে করতাম
নানা রকম আওয়াজ।
স্কুলঘরটি পুরনো ছিল
ভেঙে পড়তো ছাদ,
মাঝে মাঝে মোদের আবার
লাগতো আঘাত।
তারই মাঝে বসে মোরা
করতাম পড়া,
মুখস্থ বলে দিতাম
বড়ো বড়ো ছড়া।
পড়া পারলে ভালই লাগত
না পারলে মার,
বুঝিয়ে মোদের বলে দিত
মাষ্টারমশাই আবার।
এই ভাবে কেটে গেলো
কিছু বছর বেশ,
হাইস্কুলে গেলাম মোরা
গ্রামের স্কুল শেষ।
আরো ছিল অনেক কিছু
সব নেই মনে,
এটুকু ছিলেম জমে
হৃদয়ের কোণে।
পুরনো সেই দিন গুলো
আজও মনে পড়ে,
কত স্মৃতি খেলা করে
স্কুল ঘরে।