দুই পাখি ফেরারী পথিক
চলে সাথে নিয়ে দুই জননী,
সময়ের কাঁটা বাড়ায় শত্রুতা
রেলের চাকা তাই সাথ দেয়নি।

মন খারাপের খেলা অভিমান
বিরহ আসে অভিমানী নয়নে,
বাঁকা বিহারীর নানা ছলনা
আশাহত মেলায় সাধুসঙ্গমে।

শুরু হয় নব নব পথ চলা
শান্তির আশায় রাস্তা বোলপুর,
মন তবু যে অশান্ত পাখি
কৃষ্ণের বাঁশি টানে মায়াপুর।

সতী মা’র ছলনায় আরেক পিঠ
পাতালের অলৌকিক প্রস্রবণ,
সতী মায়ের ভূমধ্য পতিত বীরভূম
উষ্ণ জলধারায় বেখেয়ালি মন।

জয়দেবও ডাকে জন্মভূমিতে তাঁর
গীতগোবিন্দ কাব্য লেখার পূণ্যস্থান,
রাত পোহালে অজয় নদে লোকস্রোত
পাপ পূণ্যের বিচার পবিত্র স্নান।

নানা গোপী মেলায় সাথ বহু আখড়ায়  
মন তবু অধরা,স্বপ্নে আসে বাঁশরী…
সময় করে শত্রুতা,যায় না তাড়াতাড়ি
অবশেষে দেখা প্রাণের বাঁকা বিহারী।

তুমি সাধনায় তুমি হৃদয় মাঝারে
মন যে সঁপেছি তোমার চরণে,
ঠাঁই দিও প্রভু তুমি জনম জন্মান্তরে
তোমার চরণ যেন পাই জীবনে মরনে।


===========================
১৯.০১.২০২৫