সারাটা জীবন কেটেছে যখন
                            মাঠে-ঘাটে খেটে খেটে
আজকে এখন পার করে দিন
                            বাড়ি বাড়ি হেঁটে হেঁটে।
দুপুরের তাপে হাত দুটি কাঁপে
                            বুঝে না-তো কেহ আর
বৃদ্ধ অর্বাচীন কাজ কর্মহীন
                            শক্তি-হীন দেহ তার।
বয়সের ভারে দেহটি এবারে
                            চলতে চায় না কভু
ক্ষুধার জ্বালায়  জীবন চলায়
                            শরীরে পারে না তবু।
ছিল না এমন তাদের জীবন
                            ছিল কর্ম ব্যস্ততায়
বেদখল হয়ে জান হাতে নিয়ে
                            আজ ভীত ত্রস্ততায়।


জমি চাষ করে সকল প্রহরে
                            ব্যস্ত হতো দুটি হাত
ক্ষুধায় কাতর বিধ্বস্ত অন্তর
                            কেটে যেত কত রাত।
অপরের জন্য জুগিয়েছে অন্ন
                            নিজে ভুখা থেকে কত
আধপেটা দেহ বুঝতো না কেহ
                            শুধু শ্রম ছিল ব্রত।
ফসলের মাঠে  দিনরাত খেটে
                            অনটনে যেত দিন
পেটে ক্ষুধা শত কাজ করে যেত
                            বয়সে ছিল নবীন।
কত খাটা খাটি   খড়কুটো কাটি
                            জীবন সংগ্রাম যার
বার্ধক্যের জন্য আজি অকর্মণ্য
                            করে শুধু হাহাকার।


চাষাভুষা বলে চোখের আড়ালে
                            পড়ে আছে তারা সব
অবিচার করা   নিপীড়নে তারা
                             কখনো করেনি রব।
সর্বহারা বলে দূরে ফেলে দিলে
                             বিবেক দংশায় শুধু
বিত্তের বাহার করি কতো আর
                             বহুরূপী মোরা সাধু।
অনাহারে যার   জীবন কাবার
                             কী হবে তার আবার
পথে পড়ে রবে বেওয়ারিশ হবে
                             আড়ালে রবে সবার।
গরিবের ছবি   জীবনের দাবি
                             ভেবে দেখি একবার
দায়িত্ব আমার ভেবে দেখবার
                             করি যেন প্রতিকার।
    #reza  ২৬/১১-২০২০ সুইডেন