শ্রান্তির পরশ পেয়ে শ্রাবণ মেঘের সিঁড়ি বেয়ে
পরাণ জুড়ায় যায় মেঘের ভেলায়, আসে ধেয়ে
ঝিরিঝিরি ভেজা বৃষ্টি অপরূপ সৃষ্টি প্রাণহরা
ধবল মেঘের ধারা হৃদয় নেচে হয় পাগলপারা।


ঝিরিঝিরি বায়ু আসে ধান শীষ নেচে হাসে মাঠে
আকাশের সিঁড়ি হয়ে মেঘমালা যায় বয়ে পাটে।
শ্রাবণের মেঘে ভেসে রুপালি চাঁদ হাসে আকাশে
ধাপে ধাপে মেঘগুলো তল্লাট ছুঁয়ে যায় আভাসে।


মেঘের আড়ালে সূর্য উঁকি দেয় আপন মাধুর্যে
ভুবন ভুলিয়ে দেয় বিচ্ছুরিত আলোর প্রাচুর্যে।
শ্রাবণের ঝরে পড়া বৃষ্টি নৈসর্গিক ভাবে সৃষ্টি
অতুলনীয় সন্তুষ্টি, প্রতীয়মান আলোক-দৃষ্টি।


জোয়ার ভাটার সাথে শ্রাবণ ভেজা আঁধার রাতে
ছিটেফোঁটা বৃষ্টি মুগ্ধ করে দৃষ্টি মেঘে ঢাকা প্রাতে।
মানস পটে জাগ্রত অবিরত মনোবল শত
প্রকৃতির মেলা প্রাণ করে খেলা মাথা হয় নত।