চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের কথা মনে রাখে না কেহ
কচু ঘেঁচুর ঘেঁটো খাওয়া হাড্ডিসার সব দেহ।
যাদের ঘরে আহার ছিল ফিরে দেখেনি তারা
মানুষ পশু একসাথে সবে হয়েছিল সর্বহারা।
ঘাস পাতা নেই গবাদি পশু মাঠে পড়ে মরে
সেই সময়ে খাবার মতো কিছু ছিল না ঘরে।


দুর্ভিক্ষের সময়ে পাশে ছিল না ধনী দেশ
অনাহারে অর্ধাহারে কত ভাই হয়েছে শেষ।
এক মুষ্টি আহারের লাগি বুভুক্ষুর চিৎকার
দিগন্ত বিস্তৃত আর্তনাদ ক্ষুধার্তের হাহাকার।
কর্ণকুহরে পৌঁছাতে পারেনি মৃত্যু আর্তনাদ
শুনেনি প্রসারিত দুটি হাতের করুণ নিনাদ।


ভাবনা বিহীন এমন জীবন ছিল না সে সময়
সে সব কথা লিখতে গেলে আজো ভয় হয়।
চোখের জলে যায়না লেখা সে সব তিক্ততা
আহাজারি আর কান্না ঝরা ক্ষুধার তীব্রতা।  
খাদ্যের অভাব সেই প্রাদুর্ভাব কষ্ট ঝরা দিন
নিপীড়ন সয়েছে সেই সময়ে বৃদ্ধ অর্বাচীন।


মরণ জ্বালা ভাগ্যের ভেলা ভীষণ মর্মান্তিক
সে সময়ে অনেক কিছু ঘটেছে অনৈতিক।
ইতিহাসের এ পাতা থেকে শিক্ষা নিতে চাই
মন্বন্তরে জীবন্ত বলি দিয়েছে মোদের ভাই।
সত্য কথা সর্বস্তরে জানে না আজো সবাই
তখন বলির পশু ছিল গ্রামের গরিব ভাই।