যেদিন কেয়ামত হবে দৃশ্যত
সেদিন মানুষ হবে বিভক্ত।


যারা ছিল বিশ্বাসী ও কৃত-কর্মে ন্যায়নিষ্ঠ
তারা জান্নাতে থাকবে প্রফুল্লিত-সন্তুষ্ট


আর যারা ছিল কাফের, করেছে অস্বীকার  
আয়াতসমূহ আমার ও পরকালের (বিচার),
আযাবের মধ্যে-ই (সেদিন) তারা হবে বহিষ্কার ।


(অতএব) প্রশংসা করো আল্লাহর
সন্ধ্যায় ও সকালে।
তিঁনি-ই অধিকারী সকল প্রশংসার  
আকাশে ও ধরাতে
মধ্যাহ্নে ও রাতে।


তিঁনি-ই করেন প্রত্যাবৃত্ত
মৃত থেকে জীবিত
এবং জীবিত থেকে মৃত,
এবং ভূমি, যা অনুর্বর (মৃত)
তা হয় পুনরুজ্জীবিত;
(তাঁর-ই নির্দেশ মত)
এভাবে-ই তোমরা-ও
হবে (সেদিন) পুনরুত্থিত।


এতো তাঁর-ই  নিদর্শন -
মাটি থেকে তোমাদের
তিঁনি করেছেন সৃজন।


তোমরা মানুষ অতঃপর,
পৃথিবীতে করেছো বিস্তার।


এতো তাঁর আর এক নিদর্শন,
যে তিঁনি- ই করেছেন সৃজন;
তোমা হতে, তোমাদের-ই স্ত্রী;
তাদের মাঝে দিয়েছেন প্রশান্তি;
এবং দিয়েছেন প্রেম ও প্রীতি।
নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শন
যারা করে চিন্তার প্রতিফলন।


তাঁর আরও এক নিদর্শন -
সেও-তো তাঁর-ই সৃজন
যা আছে গগনে জামিনে ;  
এবং আছে কত ধরণ  
তোমাদের ভাষা ও বর্ণে।
নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শন
যারা করে জ্ঞান অন্বেষণ।


আরও আছে তাঁর নিদর্শন,
রাতে ও দিনে, যখন
হয় নিদ্রার (প্রয়োজন)
এবং করো তাঁর কৃপা অন্বেষণ।
নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শন
যারা সযত্নে করে শ্রবণ।


আরও আছে তাঁর নিদর্শন,
যখন করেন তিঁনি বজ্র প্রদর্শন
সেতো ভয় ও ভরসার-ও কারণ;  
এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ
অতঃপর মৃত ভূমি পায় জীবন।  
নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শন
যারা করে এর মর্ম অনুধাবন।


আরও আছে তাঁর নিদর্শন,
যা ছিল তাঁর-ই হুকুম
সব কিছুর হয়েছে পত্তন;
এসব আসমান ও যমীন
আর আসবে হুকুম যখন
মাটি থেকে উঠে আসার
তোমরা উঠে আসবে সত্বর।


সব-ই তো তার অধীন  
যা কিছু গগনে-যমীনে;
সবাই তাঁর-ই আজ্ঞাধীন।


[সূরা আর-রূম (৩০: ১৪-২৬) অবলম্বনে]
২০২১ ০৬ ১৮