হ্যালো, হ্যালো হেলো
দূর ছাই
হ্যালো হ্যালো হুম আমি শুনতে পাই
কে? শুভ্র?
আবুল?
ও ভাবছিলাম শুভ্র
না না মাছ লাগবে না
কাটাকুটি ঝামেলা
তুমি বরং বাজারে বিক্রি করে দাও...


হ্যালো হ্যালো
কে? রিনটি? হ্যাঁ বউ মা
ও, মোমেনা
কেন আসতে পারবিনা
এদিকে তোর খালু অসুস্থ
আমার শরীরও ভালো যাচ্ছে না
তুই না এলে চুলায় যে হাড়ি চলবে না


কে? অরুণা,
হ্যাঁ আমি তোর মা
শোন আমার কেমন যেন লাগে, বুঝলি
একা একা দম আটকে আসে যেন
নাতভাইকে একটু পাঠিয়ে দে না
কয়েকটা দিন থেকে যাক
ও, পরীক্ষা!
আচ্ছা ভালো থাকিস।


হ্যালো
শুভ্র? হ্যাঁ বাবা কেমন আছিস?
রিনটি কি এখনও ঘুমাচ্ছে?
সজল কেমন আছে রে?
ভাইটাকে একবার খুব দেখতে ইচ্ছে করে
হ্যাঁ, তোর বাবা ভালোই আছেন, হ্যাঁ ওষুধ আছে
ঈদে একবার ঘুরে যাবি নাকি?
ও, ছুটি নেই?
শোন, এখন তোর ওখানে কয়টা বাজে
সকাল হলে আমি তোর ফোনের অপেক্ষায় থাকি
হ্যালো হ্যালো, আহা! কেটে গেলো


সোফার হাতলে ভর করে
খুব আসতে উঠে এলেন প্রাক্তন স্কুল শিক্ষিকা রাহেলা বানু
জানালার পর্দাটা মেলে দিলেন
বাহিরে কড়া সূর্যালোক
গ্রিলে ঠেকালেন চিবুক
টপ টপ করে গড়িয়ে পড়লো দু ফোঁটা অশ্রু
মুখে বির বির করে বললেন
‘এর থেকে বৃদ্ধাশ্রম ঢের ভালো
ওখানে অন্তত কথা বলার মানুষ থাকে’


এরপর হঠাৎ আঁচলে মুখ মুছলেন
একটু হাসার চেষ্টা
-হ্যাঁগো, তুমি টয়লেটে যাবে? আসছি...............