ভায়ে-ভায়ে রক্তের টান ভেঙ্গে দিস,


সুখের সংসারে আগুন লাগিয়ে মজা নিস,


উপেক্ষা করিস, মায়া-মমতা বন্ধন


মুলো ঝুলিয়ে পোক্ত করিস, তক্তপোষ চিরন্তন ।


লাভের গুড় লুটে খাস, পা-ঠেকিয়ে আমাদের বুকে


আমাদের ব্যবহার করিস ইচ্ছেমত, বল তুই কে ?



আমরা তো ছিলাম ভালো হিন্দু-মুসলমান,


ভেদাভেদ কভু করিনি, কে বৌদ্ধ কে বা খ্রীষ্টান,


সকলে মোরা ছিলাম আপন মনে নিজ সুখ নিয়ে,


বাংলা মায়ের সন্তান হয়ে একই সুধা পিয়ে ।


কোথা থেকে এসে আগুন ঢুকালি আমাদের সুখে


পাহাড়ি-বাঙ্গালী রেখা টানিস কোন সাহসে, বল ব্যাটা তুই কে ?



সম্প্রীতির মাঝে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ালি তুই,


নিজ আখের গোছাতে বিভেদের খেলা খেললি তুই,


মিথ্যা-ন্যাকা মায়াকান্নার মায়াজালে


ভোলাতে এসেছিস আমাদের ; ভোল পাল্টে সমব্যাথীর ছলে ।


আমাদের জীবন নিয়ে খেলার অধিকার পেলি কোথা থেকে


ভ্যাম্পায়ার রুপী রক্তশুষা মানুষ তুই, বল তুই কে ?



দাঁড়ি-টুপিতে হাত দিস ভয় ভুলে নিঃসংকোচে,


মন্দির পুড়িয়ে দাঙ্গা লাগাস, যেঁচে যেঁচে


লোভের বশে লুটে নিস দেশীয় সম্পদ নিশির আঁধারে


হট্টগোল বাঁধিয়ে, অপরে দোষ চাপিয়ে বাঁচাস আপনারে ।


তোর রাজনীতির ঘৃন্য মারপ্যাচে বলি দিস আমাদেরকে


জীবনটা কি তোর বাবার কেনা ? বল তুই কে ?



জবাব তোকে দিতেই হবে ছাড়ছি না আর তোকে


রাস্তায় যখন নামিয়েছিস, ধরব এবার ছেঁকে ।


তোর মুখোশ হিচড়ে টেনে বের করেই ছাড়ব


চিনিস না তুই এ জনতাকে, এবার ঘাড় মটকাব ।


কোথায় পালাবি ! দেখতে চাই তোকে


আসল চেহারা চিনতে চাই, বল তুই কে ?



তুই যেই হ, এবার তোর আর রক্ষা নাই


ক্ষ্যাপা জনতা ক্ষেপেছে এবার, শুধু তোর মাথাটা চাই ।


সম্প্রীতি-মমতা ভুলিয়ে আঘাতটা দিয়েছিলি তুই,


প্রতিঘাত পেতে প্রস্তুত থাকিস, আসছেরে জনতা ওই,


জনতার মার খাসনি তুই, তাই মেতেছিলি খেলায় হুজুগে


আমরাই খোঁজে বের করব তোকে, বলিস বা না বলিস তুই কে !




২৮/০৩/১৩ ইং



___________######__________