আল্লাহ্‌ তুমি আছো জানি, আছে বিশ্বাস, তুমি চিরঞ্জীব;
তোমার রহমতের ছোঁয়া পেয়ে আমি আজও আছি সজীব।


দেখিনি তোমায় চোখে কখনো কিন্তু পেয়েছি তোমার অস্তিত্ব;
রেখো তুমি আমায় সবসময় তোমারই পথে যা কুরআনে বলেছো সত্য।


লোকে বলে, তোমার পথ সম্পর্কে জানতে হলে পড়া লাগবে কুরআন এবং হাদিস;
পড়তে গিয়ে গলা ভেঙে যায় কারণ কণ্ঠে মিলে না যে যবর, যের, যযম তাশদীদের সুরের(টানের) হদিস।


অনুবাদ গ্রন্থ হাতে নিলে চোখে দিতে হয় চশমা;
বাংলা কথাও যখন বুঝিনা আমি, তখন নিজেকে মনে হয় অপকর্মা(অপরাধী)।


দৌড়ে যাই সাদা পোশাকের দাড়িওয়ালার কাছে, গিয়ে বলি, “হুজুর একটু দেখবেন?”
তিনি বলেন, “অসুবিধা নাই, আপনাকে একটু দেখিয়ে দিলেই আপনি পারবেন।”


বুক ভরা সাহস নিয়ে লেগে যাই পড়তে;
পড়তে গিয়ে এত প্রশ্ন মাথায় আসে কি জানি কি করতে?


দু-একটা প্রশ্ন করলেই হুজুরের শেষ হয়ে যায় সময়;
মনের মধ্যে সকল প্রশ্ন একাকার হয়ে পরিণত হয় ধূলিময়।


কৌতূহলী মন আগ্রহ জাগায় তোমার নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে;
বিজ্ঞ লোকদের প্রশ্ন করলে, তারা প্রত্যেকেই একেক ধরনের নিয়ম বলে মানতে।


একজনের বাণী আরেকজনকে শোনালে তারা প্রত্যেকেই দাঁড়া করায় নতুন শক্ত যুক্তি;
মনের মধ্যে সকল যুক্তি ঘুরপাক খেয়ে ভাবায়, সকলের যুক্তিই তো দেখি সত্যি।


কোনটা ছেড়ে কোনটা মানবো তাতো আমি করতে পারিনা নির্ণয়;
আল্লাহ্‌, আমি নতজানু হয়ে বলছি, তুমি দেখাও আমাকে সঠিক পথ, দোটানা আর নয়।