“”
  


প্রথমবারের মত তার সাথে আমার দেখা,
হঠাৎ বৃষ্টির জোছনায় ভর করা
অথৈ  আবেগে চাঁদকে হার মানালো সেঁজুতি।
যেন বুকের একান্ত কাছাকাছি মুকুলিত ঘ্রানে
শব্দাবলীর তুষার ভেঙেছ তুমি......।


মুখোমুখি রুমের ভেদ শুধু
একটা করিডোর কে আলগা করে দিয়ে গেছে।
তবু দু’জন কাছাকাছি-,
প্রায় অচেনা একটা মানুষকে এতো অল্প
সময়ে এতোটা গভীরে......,  
ভাবা যায়!
আমি তা পেরেছি।
সমুদ্রের তীরে বালুর মকমলে
অনেকটা পথ আমরা খালি পা’য় হেঁটেছি।
বাতাসে তোমার চুল এলোমেলো করে দিয়ে যেত।
হাঁটতে হাঁটতে বধির লেগে আসা পা
শান্ত স্থির বিকেলের পানে বসে পড়তে
ঐ দিগন্ত বিয়োগের দিকে মুখ করে।


আমি আর পারছি নে দ্বীপ ।
তারপর ---
ফিকে হওয়া গোধূলির ছড়ানো আলোয়
ঢেউ গুনতে গুনতে---- অজান্তেই আমার হাত
তোমার কাঁধে ভর করে।


সেঁজুতি,
তোমার আকাশ ভরা মেঘ,চোখের কালিমায় অশুভ চিহ্ন ,  
তোমার দৃষ্টিতে মুক্তির আকুতি।
তোমার ভাষা শিকড়ে স্বপ্ন ভাঙ্গনের শব্দ।
তোমার মানুষের মাঝে সুখী সাজা
অভিনয়ের গাঢ় অভিজ্ঞতা।
সময় নীলাচলে জীবনোচ্ছ্বাস, নিশ্চুপ বিষাক্ত
দাবানলে- তোমার প্রতিটি অধ্যায়
ফিনকি দিয়ে উঠে রপ্ত করা নাভিমূলে।


সেঁজুতি,
সে রাতটা আমি তোমার পাশে ছিলাম ,
একই বিছানায়, একটা বালিশে ভাগাভাগি করে ,
তোমার জীবনের অতীত-বর্তমান, ভবিষ্যতের
ইঙ্গিতকে তাক করলে সময়ের সাক্ষী –
মেঘ পুত্রের মতো
কাব্য লেখা অঝোরে ভিজাবে পথ।
রাজপথ- আলপথ- গলিপথ।
সেঁজুতি,
আমি নির্বোধ হিমযুগের প্রসারিত দেয়ালের
নির্ভরতায় বঙ্কিম রেখার অনতিক্রম্য
আঁধারে ডুবে আছি।
এতো কাছাকাছি তবু
প্রাচীন সঙ্গীতের মতো সুর, তাল,লয় নিয়ে
বেজে উঠতে পারছিনা।
জঘন্য পিপাসা থাকা সত্তেও ঠোঁটের শুকনো হাসি দিয়ে---  
বলিরেখা দিয়ে স্তব্ধ রাতকে সমুদ্রের লবনাক্ত
ঢেউয়ে কম্পন মিলিয়ে দিয়েছি।
আমি দ্বীপ ,
ঢেউয়ের বানে জন্ম নেয়া দ্বীপ।
একদিন অতর্কিত ঝড়ে তোমার হৃদয় হতে
মুছে দিবে – বিলিন হওয়া দ্বীপকে।