এখনও পাইনি কিছু প্রশ্নোত্তর
কিন্তু কেন,জবাব এড়িয়ে যাও?
এখন সময় এসেছে,এবার বলে যাও।
নিজেকে আর কতকাল এভাবে
আড়াল করে রাখবে?
বিবেক দহনে জ্বলে পুড়ে কেন
নিজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে?
এবার ঘোমটা খোল,সাহসী বীরঙ্গার মতো
লাল শাড়ীর আঁচল কোমরে বেঁধে মুখ খোল।
অপকটে বলে যাও,স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস
ত্রিশলক্ষ শহীদানের রক্তে ভেজা মাটির কথা বলো।
আড়াই লক্ষাধিক নারীর সম্ভ্রম হারানোর কাহিনী বলো
বিধবা নারীর লাঞ্ছনার করুণ ইতিহাস তুলে ধরো।
আজকের শিশু,আগমী প্রজন্ম সবাই জানুক
তোমার বিজয়ের সেই অতীত ইতিহাস।
লজ্জ্বা কেন?
তোমার সেই মহান বিজয়ে কার কি ভূমিকা ছিলো
নিঃসংকোচে সব সত্য প্রকাশ কর অজেয় বীরের মতো।
আরও বলো,বিজয়ের মূলমন্ত্রের কথা,গণতন্ত্রের কথা
বিজয়ের স্বাদ কতটুকু পেয়েছো সে কথাও বলো।
বাকরুদ্ধ হয়ে শিকলপরা হাত নিয়ে ঘুটিয়ে বসে থেকোনা
মানুষের প্রাপ্য অধিকার আদায়ে পিছ পা হয়োনা।
শুধু লাল সবুজের শাড়ী পরে দুঃখকে আড়াল করে
শহর বন্দর গাঁও- গেরাম ঘুরে বেড়িয়োনা।
খেটে খাওয়া মানুষের বেদনার অশ্রু মুছে দাও
মমতার ছোঁয়ায় মানব মনে আশা জাগাও।
স্বার্থক করো, তোমার বিজয়ের মান এ মাটির বুকে
হাসির রেখায় বসতি গড়ুক সবাই আপন সুখে।
উন্নয়ের মহাসড়কে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাও হাসিমুখে
দেখুক বিশ্ববাসী, আমরা আছি কত সুখে।


                        (১৬/১২/২০ইং)