সুখের নেশায় সরল রেখায় যখন ছিলো চলা
সাঝের বেলা আনন্দে মোর ভাসতো নিতুই ভেলা।
আশার বানে মন নদীতে জাগলো যখন তীর
হাত বাড়ালে তুমি এসে গড়তে সুখের নীড়।
লজ্জ্বাতে মুখ লাল করে যেই অন্যদিকে চাই
জড়িয়ে ধরে বললে মোরে দিওনাকো ছাই।
সেদিন থেকে ধীরে ধীরে বাড়লো লেনাদেনা
সুযোগ বুঝে মাঝে মাঝে দিতে এসে হানা।
নগ্ন বুকে আঁচল টেনে মুসকি হাসি দিয়ে
প্রেম যমুনা দিতে পাড়ি ভয়ের তরী বেয়ে।
হঠাৎ করে সেই সাহসী হারিয়ে গেলো দূরে
তবু কেন মন জানি মোর তার তরে পুড়ে।
শুকনা গাঙে আশার তরী যখন আটকে যায়
হল্লা করে মনের দানব রক্ত চুষে খায়।
মন মরা হয়ে যখন বসি গাছের নীচে
আমায দেখে বিষণ্নরা শিউলী পাড়ায় নাচে।