সাতসকালে হেঁটে চলে গরিব চাষীর মেয়ে
অঙ্গেভরা রূপখানী তার সবাই দেখে চেয়ে।
শালীনতার পোষাক পরে নিতু চলাফেরা
মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখে করে লেখাপড়া।
কাজলপরা দু'চোখ তার মধুর স্বপন আঁকা
আবির মাখা মুখটা যেন শশীর আলোয় ঢাকা।
মুক্তা ঝরা মায়ার হাসি দু'টি ঠোঁটের ফাঁকে
মনবিরহী শান্তি খুঁজে চুপিসারে দেখে।
পথে ফোটা বনফুল সুবাস মেখে গায়
স্নিগ্ধ হাওয়ায় হেলে দোলে  বারেক ফিরে চায়।
কচি লাউয়ের ডগার মত কোমল দেহখানী
আনন্দে মন ভরে দুখীর মুছে চোখের পানি।
অহংকার নেই মনের মাঝে বিন্দু মাত্র তার
এমন মেয়ে কোথাও খুঁজে পাবে নাকো আর।
পরের দুখে কাতর হয়ে এগিয়ে যায় কাছে
কষ্ট ব্যথায় কারো জীবন না হয় যেন মিছে।
সরল রেখায় চলতে কভূ করেনা সে ভুল
আদর করে সবাই তারে ডাকে জ্যোৎস্নার ফুল।
   (১৩.০৭.২০ইং,বিঃ৫:০৫)