চৌদিশ হতে শুনি অসহায় মানুষের চিৎকার,
নৃশংস কাপুরুষ, লম্পট মসনদে ওদের ধিক্কার।
বাতাসে আওয়াজ শুনি মজলুম মানুষের কান্না'র,
ন্যায়ের বাজারে কেবল মহামন্দার হাহাকার।
রুষ্ট চিত্তে মস্তক নত করি আমি লজ্জায়,
আমি রাত জেগে কবিতা র'চি মহাপ্রলয়ের সজ্জায়।
বিদ্রোহী হয়ে আমি হুংকার ছাড়ি দামামার,
আয়রে তরুণ, ধ্বংস করিব সব অসভ্য চেতনার।
বল, দুনিয়ার বুকে আছে যত অকর্মণ্য, বিভ্রাট,
আমি হিংস্র হয়ে পদতলে পিষে করি লুটপাট।
আমি রুদ্র নেশায় রুষ্ট হয়ে প্রলয়মূর্তি এঁকে যাই,
আমি ক্ষুব্ধ চিত্তে মহাপ্রলয়ের গান গাই।
আমি সাম্যকে আঁকড়ে ধরে দম্ভকে করি ছারখার,
আমি অন্যায়ের ঘাড়ে লাথি মেরে করি সব চুরমার।
আমি মারুতের বেগে মরুতে তুফান তুলি বন্যার,
বল প্রতিবাদী, আমি আকাশে ডিনা-মাইটের ঝংকার।
আমি সত্যের আওয়াজ তুলেছি জাগো দুর্বার,
ভাস্কর তুলে মশাল জ্বেলেছি জাগো অনি-বার।
চিত্ত ক্ষোভের তপ্ত রোষে হয়েছি আমি মৃগরাজ,
অদ্রিকে নিচে ফেলে আমি মস্তক তুলেছি আজ।
বল প্রতিবাদী, আমি দাবানল, আমি মহাবিপ্লব,
প্রলয় দাপটে ভূগর্ভে পুঁতে ফেলি যত অভিশাপ।
আমি মর্ত্যেই স্বর্গ চাই, চামার- চাড়াল হও হুঁশিয়ার,
আমি সাম্য চাই, ইনসাফ চাই, চাই না অনাচার।
আজ কলম ধরেছি, মুগুর তুলিনি তবু সাবধান!
বলি শুধরে নাও নিজেকে, শোন শান্তির আহ্বান।