(বিঃদ্রঃ এটা কবিতা নয়, সামান্য ক্ষোভের প্রকাশ। যা মনে আসছে তাই লিখেছি।)



                 অদ্য বিশ্বচরাচর,
                 চৌদিশ হাহাকার,
সাধু বেশে বসে আছে, লম্পট কোথাকার।
কোটি-কোটি টাকা যার, ব্যাংকেই জমা রয়,
   আজ এই দুর্দিনে চুপ কেন আছে হায়?
                কারও নাই মাথা ব্যথা,
                কারও নাই হিম্মত,
  হাতে ধরে না বাঁচালে ; পুরো জাতি কুপোকাত।
     কর্ম হারিয়ে আজ, পুরো জাতি অসহায়।
      কান পেতে শোন ঐ, নিঃস্বের হায়! হায়!
                কোথায় সে' মহাজন?
                কোথায় সে' ধনীজন ?
   উবে গেল দেশপ্রেম ; ভারি ভারি গর্জন?
       পথশিশু কাঁদে শোন্ চৈত্রের দুপুরে,
     কলিজাটা ছিঁড়ে খেলো, রাস্তার কুকুরে।
                 দ্যাখ দ্যাখ চেয়ে দ্যাখ,
                  মানুষের মাঝে ভাই;
    না খেয়ে মরিছে ওরা ;ওদের আজি কেহ নাই।
  কোথায় আজি মানবতা, আছো তুমি লুকায়ে ?
     মানুষ মরিছে দেখ দিন রাত না খেয়ে।
                    সরকারী অনুদান ,
                    নয় ঢের পরিমাণ,
কোটি টাকা কোলে নিয়ে, বসে আছে শয়তান।
   আজ এই দুর্দিনে যা'ই কাজে লাগে নাই,
  এতো এতো ধন তুই; কবরে কি নিবি ভাই?
                    যাহা দিল সরকার;
                    মিলে নাই গরিবে,
     ত্রাণ চুরি'র কল দিয়ে, দেশটারে গড়িবে?
     দুর্যোগ আসে নাই , শুধু খাদ্যের অভাবে;
এ হেন দুর্দশা, অসম বন্টন, নেতাদের স্বভাবে।
                   ভুরিভুরি টাকা কড়ি;
                  দেশ ভরা কোটিপতি,
চোখ বুজে আছে শালা; বেইমান মোটা হাতি।
      মানবতা চুপি স্বরে ; যা'সনা তুই পাল্টে,
     তুই না এলে আজি, ভূলোক দিব উল্টে।
                    ক্ষোভে ভরা চিত্ত,
                     চুপি কাঁদে নিত্য;
         মর শালা দূর হ' ; চিনেছি চরিত্র।
      নরকের দাবানলে, ভূলোক পুড়ে হলো ছাই,
      শুনি নিঃস্বের চিৎকার; বাঁচাবার কেউ নাই।
                    আয় ভাই দুর্দিনে,
                    কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে,
    চল্       দুর্দশা দূর করি, গরীবে বিলিয়ে।
    জানি    চেষ্টাই সমাধান, যুক্তিতে তর্ক,
    আয়     চেষ্টা করিয়া দেখি, উঠবেই অর্ক।
                     বিশ্বাসে মুক্তি,
                    একতাই শক্তি,
    যদি       থাকে হৃদয়ে, একতার ভক্তি।