হাবলু চোরা, বাবলু চোরা
এরা দু'জন মুরগি চোরা।
পাড়ার সকল মুরগি যত,
এদের চিনে ধানের মত।
চুরির বেলায় ভীষণ পটু,
যদিও তাদের বৃত্তি কটু।
হটাৎ একদিন পড়ল ধরা,
দক্ষ-নিপুণ মানিকজোড়া।
পিটুনি খেয়ে পিঠ যে বাঁকা ,
ছাড়তে হবে এই এলাক।
হবে এবার কঠিন বিচার,
একই কথা মুখে সবার।
বিচার হবে বিশাল-বড়,
এলাকার লোক হল জড়।
মারো এদের ছাড় দিবেনা,
চুরি যেন আর করেনা।
এ রায় দিল মাতুব্বর,
শাস্তি হলো কার্যকর।
পিটুনি চোটে হারায় জ্ঞান,
মূল্যহীন যে চোরের প্রাণ।
মুরগি মালিক বলে শেষে,
বিচার-সালিশ নাইরে দেশে।
এদের উচিৎ ফাঁসি দেওয়া,
সঠিক বিচার হয়নি পাওয়া।
চোরের তখন জ্ঞান ফেরে,
ডুকরে কাঁদে ব্যাথার ঘোরে।
মারেন আরো ইচ্ছে হলে,
অশ্রু চোখে দাঁড়িয়ে বলে।
আমারা না হয় পেটের টানে,
করছি চুরি রাতে বিহনে।
দিন দুপুরে কোটি টাকা,
চুরি করে রাজকোষ ফাঁকা,
করল যারা পুকুর চুরি,
অর্থ যাদের ভুরিভুরি।
দেশের যারা রাঘব বোয়াল,
ভীষণ বড় তাদের চোয়াল।
রাস্তা ব্রিজ খাচ্ছে গিলে,
টেন্ডারবাজি সুযোগ পেলে।
গিলে খাচ্ছে দেশের পুঁজি,
বিচার কর তাদের খুঁজি।
মুরগি চোরের ফাঁসি দিবেন,
এদের বিচার কি করিবেন?
তাদের করা পাপের ফলে,
আমরা গরীব ভাসছি জলে।
দুর্নীতিতে ভরে গেছে দেশ,
আমজনতার কষ্ট যে বেশ।
অর্থনীতির অবস্থা করুণ,
লম্পট পিচাশের দরুন ।
এদের চুরি কেউ দেখেনা,
বলার সাহস কেউ করেনা।
মুরগি চোরকে ঠিকই মারে,
কেউ পড়েনা তাদের ঘাড়ে।
তারাই তো ভাই চোরের চেলা,
তবুও "চোর" হয় না বলা।
সাহেব, সাহেব বলেই ডাকে,
কেউ বলেনা চোর তাহাকে।