আর কতকাল থাকবি বসে নব্য,
কতকাল ভাঙবি বসে নিজ দিব্য?
ছুটে আয়, ছুটে আয় ওরে নব্য।


সত্যেরে করিছে খুন; বর্বর মন্‌সে্'র শিখরে,
ভণ্ড পতির কেতন হেথা ওড়ে পতপত করে,
দ্যাখ, দ্যাখ জালিমের কেতন ওড়ে।
আর কতকাল থাকবি রে তুই ভব্য?
ছুটে আয়, ছুটে আয় ওরে নব্য।


অসুর পতি গড়ি'ছে দ্যাখ প্রকাণ্ড প্রাচীর,
পিষ্ট হয়ে মরিছে হেথা পুত্র যুধিষ্ঠির,
ন্যায়েরা লুপ্ত, হুঁশ নাই জয়শ্রী'র।
জাগিয়া ওঠ তরুণ জোয়ান সব্য,
আর কতকাল থাকবি বসে নব্য?


আয়রে নূতন উড়িয়ে কেতন নকর দুয়ার ফাঁড়ি
ভূলোক আজি জর্জরিত অভিশাপে ভারি
মরিছে মানুষ হেথা করিছে আহাজারি।
দ্যাখ রক্ত, মানুষ হিংস্র পশুর ক্রব্য
আর কতকাল থাকবি বসে নব্য?


আয়রে সবল ভাঙ রে প্রাচীর,ভাঙ রে আগল,
আয়রে ছুটে রণাঙ্গনে বাজিয়ে মাদল
মুণ্ডু ছিঁড়ে খণ্ড কর্ হে রক্ত-পাগল।
আর নয় রে আসন ভোজন কব্য,
ছুটে আয়, ছুটে আয় ওরে নব্য।


নরক পুড়িয়ে ছাই করে দে, করে দে ছারখার,
বজ্রমুঠে গলা টিপে ধর অভিশপ্ত আত্মার,
ভূলোকে আলোক জ্বালো দীপ্তশিখা'র।
হয়ে যাক অধম নরপশুগুলো সভ্য,
আর কতকাল থাকবি বসে নব্য?


পদাঘাতে তোর প্রাচীর ভাঙিয়া 'মৃত' উঠিবে জাগি,
আয়রে জোয়ান ভূলোক পানে বজ্র তেজে রাগি,
দুর্দশা ভরা ওই শিষ্ট চোখে ভিক্ষা কেন মাগি।
ভব্যের জয়ে নিপাত যাক অভব্য,
ছুটে আয়, ছুটে আয় তোরা নব্য।


( বিঃদ্রঃ কবিতায় "মন্‌স্‌" দ্বারা মঙ্গল গ্রহের সবচেয়ে উঁচু পর্বত "অলিম্পাস মন্‌স্‌" কে বুঝানো হয়েছে।
ভব্য = শান্ত;  অভব্য = অভদ্র, অকল্যাণ;
সব্য = উভয় হাতে শরচালনায় দক্ষ ( অর্জুন বা তার মতো কেউ)
সভ্য= শান্ত, শিষ্ট; কব্য= পরলোকগত পিতৃপুরুষকে নিবেদিত ভোজ্যদ্রব্যাদি। )