হাঁকে জঞ্জাল কাঁদে প্রাঞ্জল ফুঁপিয়া ফুঁপিয়া,
শাপ কন্দল চঞ্চল জঞ্জাল হানি'ছে দুনিয়া,
নাচে মৃত্যু, হাঁকে বাণ শনশন হনহন ছুটিয়া।
ধ্যানে দুর্গেশ ব্যোমকেশ উন্মেষে জংকার,
চৌদিশে তাই ওংকার, ওংকার।


শুনি রণ সুর রূঢ় হানিছে ঘনঘন জর্জর পঞ্জর,
ছিঁড়িয়া পঞ্জর রঞ্জিত খঞ্জর রক্ত ঝরে ঝরঝর,
করে চিৎকার দিয়া ফুঁৎকার হাঁকে শুভংকর।
কেহ নাই কেহ নাই হেথা তাহারে বাঁচাবার,
জপিছে শুধু ওংকার, ওংকার।


অদ্য জীর্ণ ছাপিয়া, চূর্ণ করিয়া রন্ধ্রে অনল,
ত্রিলোচনের তৃতীয় নয়ন মহা রূদ্র দাবানল,
করে জ্বলজ্বল , ছল-ছল কল্লোল হিল্লোল।
হুংকার ঝংকারে শুনি রামধনুকের টংকার,
জপিছে ওই ওংকার, ওংকার।


চণ্ডি মহাকাল চিত্তে মত্ত তাথই তাথই নাচিয়া,
শাসন ত্রাশোন লোভীর মস্তক ধরি'ছে ঠাসিয়া,
কষিয়া কষিয়া রোষিয়া খড়গ চালাই হাসিয়া।
দাপিয়া দাপিয়া উঠিয়াছে হাঁপিয়া রণহুংকার,
জপিছে তাই ওংকার, ওংকার।


দস্যু ত্রাস করিয়া গ্রাস, দ্রিমি-দ্রিমি জয়োল্লাস,
দুর্ধর্ষ পারুষ্য উঠিয়াছে জাগিয়া হাসে কৈলাস,
হই-হই রই-রই ধ্বনিতে জাগিয়া উঠিছে লাশ।
নাহি ভয়, নাহি ভয়, দে রে দে কব্বর শঙ্কার,
জাগ্ রে ওংকারে, দে হুংকার।