চিত্ত পুরে মর্মী সুরে,
সর্বনাশী বাজায় বাঁশি।
পাতাল ফুঁড়ে উঠল বিনাশ,
চিত্ত ভরা ক্ষোভের হাসি।
আকাশ ফাড়ি' উল্কা বেগে,
আসছে রে ওই প্রলয় দূতী।
অত্যাচারী'র বুক ফাড়িয়া,
আয়রে বেটা আয় মারুতি।
টগবগিয়ে রক্ত কণা,
দিচ্ছে হানা রুদ্র নেশায়।
রুদ্র রোষে অদ্রি ভাঙি,
পিষ্ট করি চরণ তলায়।
চামার চাড়াল বিনাশ করি,
দৃষ্টিতে মোর শনি'র নেশা।
মিথ্যাটারে ঝাপটে ধরে,
উপড়ে ফেলি হরহামেশা।
চিত্তটা মোর বিষ্ণু সাজে,
রাবণ খোঁজে রনাঙ্গনে।
অসুর রাজের নাশ করিতে,
সুদর্শন ওই চক্র সনে।
তাই দেখিয়া বজ্রাঘাতে,
অত্যাচারী'র আসন কাঁপে।
গোলক দ্যুলোক উঠল কেঁপে,
দেখিয়া সেই রুষ্ট রূপে।
যক্ষপতী'র রক্ত খুনে,
আঘাত হানি কঠোর রোষে।
নরক দুয়ার রুদ্ধ হ'বে,
চিত্ত ভরা রোষে'র বিষে।