রাইকিশোরী গান ধরেছে এবার নতুন সুরে
পুজোর সময় মন যেতে চায় একটুখানি দূরে,
আমি ভাবি মনে মনে যাগ্গে বাঁচা গেলো
প‍্যান্ডেলে তে গলদঘর্ম র দিন বুঝি শেষ হলো,
গদগদ হয়ে বলি ঠিক বলেছো বেশ
তোমার আমার মনের কথা মিললো অবশেষ,
গ্ৰামের বাড়ি ফাঁকা পড়ে ইচ্ছে করে যেতে
দেখবে এবার গাঁয়ের পুজোয় উঠবে কেমন মেতে
তোমায় পেয়ে সবাই দেখো নাচবে কোলে তুলে
আহ্লাদে আটখানা হবে তোমায় আমায় পেলে,
আমার মনে স্বপ্ন তখন ছোট্ট বেলার ছায়া
পুরোনো সব বন্ধু পাবো, মায়ের একি দয়া !
কাল্টু বীরু সুবোধ দেবু সুব্রত আর ভোলা
চারটে দিন ই একসাথে সব , দিচ্ছে মনে দোলা,
রাই এর দেখি মুখ গম্ভীর চোখ দুটো গোল গোল
পটল চেরা চোখে আবার একি গন্ডগোল!
দু চার বার ঘাড় ঘুরিয়ে বললো অবশেষে
ভাবতে পারলে পুজোর কদিন নষ্ট করবো দেশে ?
টিকিট কাটো হোটেল দেখো যাবো লাদাখ লে
হাঁফিয়ে গেছি স্বস্তি পাবো ঠাণ্ডা তে থাকলে,
আমি বলি যদি তোমার মাথায় এটাই ছিলো
কিনলে কেন অতো শাড়ি ফালতু খরচ হলো,
শাড়ির তো আর অভাব নেই সব আলমারিতে ভর্তি
কিনতে না হয় কোট কার্ডিগান কিংবা উলেন কুর্তি
শাড়ি পড়ে কেউ কখনো ঠান্ডা দেশে যায় ?
এই কথাটা একটি বার ও এলোনা মাথায় ?
ভগবানের স্পেশাল সৃষ্টি কপাল আমার পোড়া
এর পরেতেই লিস্টি এলো সারা পাতা জোড়া
মোজা থেকে টুপি মাফলার সঙ্গে স্নিকার জুতো
কোল্ড ক্রীম আর বডি লোশন নাম শুনিনি অতো,
ঘাম দরদর বুক ধরফর , জুটলো কি বরাতে
টোপর খানা ওজন করে দেখতে হবে রাতে,
বললো হেসে পাশে বসে, ভাবছো কি মশাই
তোমার মতো কিপটে দাশুর ঔষধ একটাই,
ভাবি শেষে হায়রে কপাল , এই ছিলো তোর লেখা
সামনে জনম যেন না পাই রাই কিশোরীর দেখা ,
কুমারব্রত অনেক ভালো এমন বাঁচার চেয়ে
দিল্লি কা লাড্ডু আর খাবোনা, দেখবই না চেয়ে ।