প্রিয়বরেষু অনীক,


আপনাকে খুব ভোরে উঠে আমার লেখা প্রথম চিঠিটি লিখছি। হয়তো শেষ চিঠিটিও। মূল অর্থ সহযোগে আপনার নামের বৈশিষ্ট্য পাই ব্যর্থতায়। আপনি একজন ব্যর্থ মানুষ কিনা আমার তা জানা নেই। গতানুগতিক সত্য অনুযায়ী সবকিছু সবসময়ে ভাবতে ভালো লাগে না।  কখনোই ভালো লাগে নি। আমরা বা আমি বা আমাদের সত্য এসব নিয়ে আমি আপনার ব্যর্থতার ওপরে আলোকপাত করতে চাইনা, এখতিয়ার ভুক্ত নয় বলে।


আসল সত্য কথন সুদ মূলের সত্য হয়ে ওঠে কখন? অনীকের অব্যর্থ পদচারণায়।  কোনো একটি সত্য ধরে সত্য হয়ে ওঠায়। আপনার সত্য আমার জীবনের চালিকাশক্তি, এমন সত্য নিয়ে আরোপিত স্পষ্টতার কড়াকড়ির শুল্ক প্রচন্ড না করে তোলায়।


সমুদ্রের তীরে আমার সন্তান পায়ের ছাপ ফেলে এসেছে।  গতকাল। অবিচ্ছিন্ন দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে  ক্ষুদ্রতম সম্ভাবনায় ক্ষুদে পদতলে কোনো চিহ্ন রাখবার সম্ভাবনা।  সে হয়তো ইতিমধ্যেই নিতান্ত ব্যর্থ। ব্যর্থতায় সাফল্যের চালিকাশক্তি নিহিত। আপনার, আমার, প্রগতির প্রশ্নের সম্ভাবনার।


ব্যক্তিগত কণ্ঠস্বর যেখানে প্রচন্ড সমুদ্রের গর্জনে ছাপিয়ে যায়না, ব্যর্থ হয়েও যায়না। প্রকৃতি নিষ্ঠুর ভাবে দুঃখ বিলাসী, হয়তো সমুদ্রও।


ভালো থাকবেন।


জুন ১০,২০২২