"আমার হাতে কিন্তু খুব বেশি সময় নেই।
ঝটপট বলে ফেলতে পারবেন, কোনো সমস্যা থাকলে?"


আমি বলবার আগেই বলবার স্পৃহা হারিয়ে ফেলতে বসি।
কথা শুরু করবার আগেই সংক্ষিপ্ত করতে বললে তো বেজায় সমস্যা!


"আপনাদের ঘোষিকার প্রয়োজন বলে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন, তাই আসা।"
"অভিজ্ঞতা আছে কিছু?"
"এই টুকটাক কবিতা আবৃত্তি আর কি! "
"ঠিক আছে বসুন।"


*******************
"কেমন আছো, বন্ধু  আমার? দিনকাল কেমন চলছে?"
"খুবই ক্লান্ত আজকে , কাল কথা বলি?"
"শোনো না ! আজ একটা হাসির কান্ড ঘটেছে, সারাদিন ধরে হাসছি!"
"উফফ, খুবই ক্লান্ত ইতিমধ্যেই, বলছি যে !"
"আহা শোনোই না !
  মেডিকেল টেস্ট ছিল আজ নতুন অফিসের জন্য।"
"বুঝলাম।  তারপর কি হলো ?
  টিউবয়েল এর জলে পসিটিভ প্রেগন্যান্সি পাওয়া গেলো?"
"দ্যুৎ! কি যে মাথামুন্ডু বলো , তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই !"
"কি জানি বাপু !
  তোমার ওই অফিসের কথা মনে হলেই
  আমার তোমায় বিয়ের প্রস্তাব দিতে ইচ্ছে করে।"
"কি বলো! কেন?"
"তোমার ধড়  মুড়ো আস্ত রাখার জন্য এ ছাড়া
  আর কোনো উপায় আমার জানা নেই যে !"
"আচ্ছা, ছেড়ে দাও।  তোমার কি অবস্থা?"
"ঘোষিকা হবার খুব ইচ্ছে, জানোই তো !"
"হ্যাঁ, তারপর ?"
"বোধহয় হচ্ছেনা।  
  প্রেমের সংলাপে বোধহয় প্রাথমিক চেষ্টার সবকিছুই ধাবিত হয়।
  ঐখানে আমি নিতান্ত রগচটা সংলাপ ছাড়া আর কিছুতে অভ্যস্ত নইতো,
  মাথাটা খারাপ লাগে!"
"বুঝলাম।"
"কি বুঝলে?"
"ওই ঘোষণার ব্যাপারটা।  দুর্যোগ লেগেই থাকে আরকি !"
"তা যা বলেছো ! তোমারও  জবাব নেই !"
"বেঁচে থাকতে হলে জবাব কম দেয়াই বাঞ্জনীয়।
ওটা ফুটপাতের চা ওয়ালা আর জুতোর মুচির জন্য রেখে দিতে পারো।
তোমার আমার জন্য সে ধৃষ্টতা সাজেনা।"

পিপীলিকার পাখা ওড়ে শুধুই মরিবার তরে।
তবু জীবনই ভাবায়
বাবার কলম কোথায় ?