শেষবেলার পরিযায়ী প্রান্তর :


টেবিলের ওপরে স্বচ্ছ গ্লাসে কারো মুখ দেখা যাচ্ছিলো।  প্রতীতি কোনোদিন বলতে পারবে না উল্টো দেশের গল্পের মত প্রতিফলিত অন্যত্র যাত্রার এই গল্পগুলো কতটা ভয়ংকর সব অনুভূতি আনে তার ভেতর।


একটা ভীষণ বাস্তবতার কাঁচের ভেতর উল্টোদিকের দেয়ালে ঝুলতে থাকা ছবির ছায়া পড়ে। দেয়ালটা ক্রিম রঙা , ছবিটাকে ভালোভাবে বুঝতে যাবার আগেই সে দেয়ালের রংটাকে যুঝতে চায়, মুছতে চায়।আদর্শ আর মূল্যবোধ মানুষকে একচেটিয়া দেবত্ব দেয়নি, বিষয়টা সাধনসাপেক্ষ এবং সাংঘর্ষিক, যদি শুধু ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির ছায়া পড়ে তাতে। সবকিছু মিলিয়ে এই প্রয়াসটাও একটা বিলম্বিত লয়ের দুঃস্বপ্নের মত।


তবে দুঃস্বপ্ন থেকেও মানুষই জেগে ওঠে। নতুন দিনের স্বপ্ন দেখে। অজানা গন্তব্যে পথের প্রান্তে চরমতম সত্য হয়ে কোনো বেগুনী রঙের বুনোফুলের পাপড়ি উড়তে থাকলে , ফুলের দোল আর মলয়ের ঘূর্ণী জোর, চূর্ণ সৌন্দর্যের গল্প। অশেষ সময়ের দোলাচলে প্রারব্ধ এক সময়।