আলো আঁধারের রহস্য চলে অনন্তকাল ধরে। চাঁদের আলোয় ঘুমিয়ে থাকা সাধারণ মুখকে মনে হয় অনাদিকালের রহস্য মোড়ানো কোনো এক শিল্প। শিশু মুখে সেই আলোর নরম স্পর্শ , তাকে জড়িয়ে রাখা ফর্সা হাতে চুড়ির শব্দ, তুচ্ছ প্রাণের আয়োজনে জীবনের আবাহন।


তুমি কাঁদছিলে।  কিছু ক্ষন আগে। সেসব কথা অসমাপ্ত রয়ে যায় , ধরা ছোঁয়ার বাইরে বসত করে পুরোনো আবেগ , না যায় খণ্ডন, না যায় বিভাজন। ছিঁড়ে ফেলবার আগে কাগজের সদ্‌গতির মত সন্তর্পণে ভাবনা আসে , আসতেই থাকে। এই বোধ সর্বস্ব কিংকর্তব্যবিমূঢ় রাত্রির বিশালতা যাকে এতটুকুও স্পর্শ করতে পারেনা। সে ভাবনা ছুঁতে থাকে তোমার চুল, ওষ্ঠ,  বন্ধ চোখের পাপড়ি। কোথাও প্রানপনে জেগে উঠবার জন্য। প্রানপনে জাগিয়ে তোলার জন্য।


সারা পৃথিবী কাঁদছে, জরাগ্রস্ত , মহামারী সংক্রমিত , ক্ষুধা, যুদ্ধ আর নিগ্রহের বিষাদে । বিঘৎ চওড়া সেসব বিপদের ফিরিস্তি , তোমার ঠাঁই কই তার ভেতর? সামান্য নারী, ছলনা শেখোনি, শেখোনি মায়ায় জড়াতে , দুধের শিশুটির আগামীকালের পৃথিবী কে জানে আরো কত ভয়ঙ্কর, আরো কত আগ্রাসী ? এতো আগুন নেভানোর জল কই তোমার চোখে ? আর কত?


নিঃশব্দ রাতের গভীরতায় কোথাও বাতাসের হুহু শব্দ হতে থাকে।  ঘুমন্ত তোমার মুখের দিকে আমি তাকিয়ে থাকি। হতাশার উল্টো পিঠে কোথাও জীবনের ঘোড়দৌড় , তীব্র বাজির দৌড়।