শোনা গেলো,
যীশু খ্রিষ্ট আজকাল বাসে চড়ছেন।
পুবপাড়ার বিনয় তাঁকে দেখেছে,
সে খবরটা নিশ্চিত করলো এই মাত্র।
আমি খুচরো পয়সা গুনছিলাম।
মুদীর দোকানের খাজনা বাকি।
সব স্বর থেমে গেলে,
পরজন্মে লোকে মোড়ের চায়ের দোকানদার হয়।
ধীরে ধীরে
আমি ধাতস্থ হলাম ,
শান্ত হলাম,
কপাল থেকে গড়িয়ে নামা স্বেদবিন্দুর উত্তাপে
আর দোকানীটাকে
অনেক দিন আগের বসুধাকে দান করে এলাম,
ও কি আমার ডান হাত চিনবে? বিশেষ পক্ষপাতদুষ্ট ডান হাত ?
এখানে অনেক আয়না থাকে, আয়না লাগে,
লোকে বেশ দেখে, ভুষা দেখে, আর কাপড়ের রংগুলো
কোথাও খর্জুর বৃক্ষের নীচে কুমারী মরিয়ম কাঁদেন এখানেও,
শীতাতপনিয়ন্ত্রিত মনে মনে কোথাও, নীরবতায় বরফ হয়ে গিয়ে ।
জুন ১৯, এডিনবার্গ
অসাধারণ লেখা কবিতা শুভ কামনা রইল কবি
কেমন লিখেছেন সে মন্তব্য করাটা আমার পছন্দ নয়।মনে হয় আমি বিচারক আর আপনি পরীক্ষার্থী। আমার নিকট মূখ্য হলো লেখাটা কেমন লাগলো। সাহিত্য মূল্যে লেখাটা কতটা পুষ্ট হলো, পরিপক্ব হলো। আপনার বেশ কয়েকটি লেখা আমি আগে পড়েছি। মতামত করেছি কিনা মনে করতে পারছি না। প্রতিদিনই অনেক লেখা পড়ি। এ আসর, পত্রিকা, বই, ফেসবুকসহ বহু মাধ্যমে। এখনো শিখি।
তো এরই মাঝে আপনার লেখা। বাসে চড়ছে যীশু,খর্জুর বৃক্ষের মরিয়ম কাঁদছে,মুদি দোকানী, প্রতিবেশীসহ আরো আরো বক্তব্য। বুঝলাম এটা একটা চমৎকার রূপকল্প।
লেখাটার পূর্বাপর অনেক গল্প অনেক কষ্ট কান্না ভেসে এলো মনের বাগানে। আমাকে বেশ আকৃষ্ট করলো। আগামীতে আপনার লেখা পড়বার আগ্রহ বেড়ে গেলো।
শুভকামনা রইলো।
চমৎকার লিখেছেন প্রিয় কবি,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি 🌿
ভালো লিখেছেন কবি তামান্না ফেরদৌস। জীবনে সত্যটিকে রূপকের তুলিতে সুন্দর করে তুলে এনেছেন। শুভ কামনা নিরন্তর।
সুপ্রভাত কবি।
অপূর্ব জীবনবোধের রচনা।
ভালো থাকুন ভালো রাখুন ।
রক্তিম শুভেচ্ছা ।