'কোনো এক রূপকথা বলতে চাইছি তোমায় , শুনবে ?'
'সেই তোমার ঠাকুর মার ঝুলি ?'
'না , তারও আগের , অনেক আগের কোনো এক রূপকথা , বলবো ?'
'বলবে তো বলেই ফেলো না , এতো ভণিতা কিসের?'
'অনেক আগের কোনো এক অখণ্ড, অবিচ্ছিন্ন সময়ে  
স্রষ্টা সকলকে সৃষ্টি  করলেন, সকলকে নাম শিক্ষা দিলেন...'
'এতো ধর্ম কথা হলো, সেই রূপকথা কোথায় ?'
'সেই তো ! আমাদের সব আছে !
ধর্ম আছে , সংস্কৃতি আছে ,
রক্তের মধ্যে বহমান মায়ের ভাষার সুর আছে ,  
আর আছে শতাব্দীর পর শতাব্দী জুড়ে রূপকথাদের বাসর !
যা নেই, যা হতে নেই তাই  তো রূপকথা সাজিয়ে নেয়, গুছিয়ে দেয় !'
'স্পষ্ট করো |'
'তুমি বলবে ধর্ম আর সংস্কৃতির মধ্যে অনেক দ্বন্দ্ব , বিভেদ
তা কিন্তু নয় !
যখন বিভেদ ঠিক তখনি তো রূপকথারা বাড়ী ফেরে !
ধর্ম যুদ্ধে দিগ্বিজয়ী যোদ্ধারা বাড়ি ফেরেন  আর আশ্চর্য সুন্দর সে রূপকথার হাট বসে !
সেখানে যুগ যুগ ধরে মায়েরা গল্প বোনেন , শিশুর চোখে স্বপ্ন চুম
যেখানে রাত বাড়ন্ত, সেখানেই তো রূপকথাদের বসন্ত !
তাঁরা শুনেছেন তাঁদের পূর্ব জন্মে ,
তাঁদের পূর্ববর্তীরা শুনেছে তাঁদের পূর্ব জন্মে
এবং তাঁদের পূর্ববর্তীরাও ...
ঘুমোলে ?'
নিস্তব্ধ প্রহর প্রশ্নটাকেই ফিরিয়ে দেয় , নীরবতায় |