আলাপ :
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ |


"খুব মনোযোগ দিয়ে কোনো কিছু চাইতে নেই |
অধিক মনোযোগে অধিক আসক্তি এবং অধিক বিপর্যয় |"
"কি করে বুঝলেন ?"
ভদ্রলোক মিতভাষী |
কথা বলেন একদম মেপে মেপে |
"জীবন থেকেই বোধহয় "
আমি চুপ করে রইলাম |
জীবনের সুখ অসুখের নিক্তি হিসেবের আমি কে ?
আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর রেখে লাভ আছে কিছু ?
গাঢ় নীল রঙের একটা মুগ্ধতা আছে ,
আকাশটাকে  সুন্দর লাগে, মানুষকেও |
প্রজাপতি দেখছি ইদানীং স্বপ্নে, ঘনঘনই |


বক্তব্য :
তুমি কি এখন দেখিছো স্বপন , আমারে ?


ঘোর বর্ষণের মহিমায় আকাশ আচ্ছন্ন |
খিচুড়ি ডিম ভাজির যথোপযুক্ত দিন আজ |
আমি কখনোই ভদ্র লোকটির কাছ থেকে ফোন আশা করিনা |
কিন্তু কি আশ্চর্যের কথা, মনে হয় ফোন পাচ্ছি !
"কেমন আছেন ?"
কেমন আর থাকা !
দিনের পর দিন বাঁচতে থাকা, ঘুড়ির মতো লটকে বাঁচা |
মনে আসে, তবে ঠিক ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয় |
মানুষ আনন্দের কথা শুনতে ভালোবাসে ,
আনন্দিত মুখ দেখতে ভালোবাসে |
দীর্ঘস্থায়ী দুঃখ ঠিক স্বাস্থ্যকর নয়, প্রত্যাশিতও নয় |
কে হায় আর হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে !


ছেঁড়া কাগজের টুকরোতে মস্তিষ্ক , হৃদয় উভয়ই ভর্তি |
হায় হতাশা ! হায় দুঃখ  সর্বনাশা !


উচ্চাশা :
এমন দিনে তারে বলা যায় |


ছোট গল্প লিখতে চাই |
কোনো বক্তব্য আছে ?
বিপ্রতীপ অবস্থানে আমি কিছু চরিত্র দেখতে পাচ্ছি |
একেবারে জলের মতো পরিষ্কার |


একজন ধার্মিক |
ওযু, নামাজ রোজার মধ্যে সম্ভবত গল্প কবিতা শুধুই পাস টাইম |
পার্শ্ব  চরিত্র |
দীর্ঘসূত্রী অনুধাবন |
একেবারে ঠিক যেন ....
ঠিক যেন অতীতে বাস করা কোনো চরিত্র , যাকে হারিয়ে ফেলেছি |


আরেকজন এই ভদ্রলোকটি |
জানামতে লেখেন বলে জানি |
লেখা এখনো পড়িনি |
তবে অত্যন্ত মিতভাষী |
অর্ধেক কথাই বোধহয় আমার নিজের ভাবনা,
কল্পনার শাখা প্রশাখা আর বর্ণ বহুল সফেন অতিরঞ্জন |
আদতে কথাবার্তা  খুবই স্বল্প পরিসরে ঘটে |


বুকের মধ্যে একটা শিশু মুখও আছে |
গর্জাতে থাকে সর্বশক্তি নিয়ে ... আবার তোমার কবিতা !
কবিতা না, ছোট গল্প | আমি শুধরে দেই |
একই কথা !
সে আরো জোরে চেঁচায় |


এসব নিয়েই আছি !
বেশ চলে যায় | যাচ্ছে |
সুর আর অসুরের দ্বন্দ্ব নিয়ে |
মনের অস্বস্তি গুলোর শেষ দেখতে চাই |
কত দূরের পথ ?