"ফুপু , তোমার বেড়ালটা সুন্দর।  আসলেই।"
আমি মনে মনে ভালো বোধ করছিলাম।  
বেড়ালটা আমার সন্তানের মতন।
আমি অনেক সময়েই ওর গলার চারপাশে
আমার চুলের ইলাস্টিক ব্যান্ড টা জড়িয়ে দেই
সোনালী রঙা পশমের ভেতর নাক ডুবিয়ে
ঘ্রাণ নিলে অনেক দুকূল ছাপানো আবেগের দেখা মেলে
সেও অনেক , অনেক নিঃশব্দ মুহূর্তের বক্তব্য আমাকে ফিরিয়ে দেয়,
আমরা পরস্পরের হয়ে উঠি, না বোঝাতে, না বলাতে, এবং অনুভবে


অনেক রাতে মাঝরাতে অকারণেই  ঘুম ভেঙে গেলে দেখি,
তাকে জানালার কার্নিশে
দুচোখ বন্ধ চোখের পাতায় , সেও সূর্যোদয়ের অপেক্ষা করে কিনা,
আমি জানিনি, আমি ভালোবাসি, এমনিই ,
সংসারে এমনিই অনেক কারণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে।


আমাকে স্কুলে নিয়ে যেতেন বাসার একজন ,
তাঁর নাম ছিল জালাল , হলদে হয়ে আসা স্মৃতি
স্কুলের দিকে ধাবিত সে সাইকেলে আমার পা দুটো
উঠিয়ে রাখা শেখানো হতো, যাতে গোল না বাঁধে।


বাসায় একজন সাহায্য করতেন, কাঠের মিস্ত্রি হিসেবে,
তিন টুকরো তক্তার একটি অনুপম পুতুলের খাট


যে সময় আমি বাবা বা ভাইয়ের ব্লেডের খোলসের
উল্টে রাখা পাতে গাছের প্রতিবিম্ব দেখতাম, আকাশেরও।


সেদিন, আমার বেড়ালটা এমনি যখন কোনো ক্লান্ত সময়ে
অন্যখানে, অন্য কোথাও
আমি জানালার কার্নিশে আলগোছে পড়ে থাকা সেল ফোনটির
গ্লাসে ঠিকরে পড়া আলো দেখলাম,
আমি আরো আশা করলাম,
বিচ্যুত হয়ে যাওয়া বন্ধ সেল পর্দার গ্লাসে আলো পড়ুক,
মেঘ ও আকাশের গল্পে, নির্ভেজাল রৌদ্র-দিনে
কারণ ভালোবাসার প্রধান তম গল্পে
প্রজাপতিদের ঝাঁক থাকা উচিত, থাকা উচিত ছটফটে কাঠবেড়ালীও।


বক্তব্যপ্রধান এই বড়  হয়ে যাওয়া জগতে সকল কথা ফুরিয়ে গেলেও
যেসব অলীক স্বপ্ন জেগে থাকে , তবুও।