উৎসর্গ : Denis O'hare


(কবিতার পদযুগল কে অনেকেই অগ্রাহ্য করেন।  আমি জীবনে কদমবুসি করিনি, এখনো বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। )


আমি ভালোবাসলাম সুরকে, শব্দকে , প্রাত্যহিকতার বাইরে
কার্যকারণ লুপ্ত হয়ে গেলেও যেখানে শূন্যতা থাকে , সেখানে
খুব মন খারাপ হলেও মানুষ স্যাঁতসেঁতে , ভেজা ভেজা বিষন্নতা চায়না
যদিও অকারণ, অনাদিকালের আনন্দ নেবার অসীম ভাগ বোধহয় বরাদ্দযোগ্য নয়।


আমি ভালোবাসলাম অনুমতির অপেক্ষায় থাকা একটি বিশেষ মুহূর্তকে
যেখানে অনবধানে চলে যাওয়া আমি ঠিক লক্ষ্য করতে পারিনি,
আমি দেখলাম ফিরে আসাকে
আমাদের কমনীয় শব্দ, রমনীয় বোধনগুলো
ঠিক গভীর ভাবে আমি কখনো ভাবতে পারিনি, জটিল
জটিল হয়ে ওঠে, আপাত সহজ মোড়কে থাকা
রসুনের সাদা কোয়ার মত রাতে মেঘের সাদা ফালিগুলো


ফিরে আসা মুহূর্ত টিকে আমি বিশেষ ভাবে চিনতে চাইনি,
সরাসরি ভাবনা আমাকে আহত করে , বিষন্নও
আহত বোধগুলোকে ছোট ছোট বর্গাকৃতি
আকাশের খোপে বিভক্ত করা যায়, ঠুকরে আহত না করেও
জমিকে যেমন লাঙ্গলের ফলা চিরে ফেলে,
আর সুবহে সাদেকের রেখা চিরে ফেলে ভোরের প্রথম আকাশ
কালো বা ছাই রঙা টি শার্টের বাইরেও,সবুজ রঙের ঘন বোধের ভেতর,
কচি চিরল পাতা যে সবুজে তবুও লালচে রং ঢালে


আমি সেখানে অদৃশ্য এক তারাখসা মুহূর্তের আবাহনের ভেতর
এত ত্রস্ত এক অনুধাবনের খপ্পরে পড়তে চাইনি


আমি মুহূর্তটিকে প্রথম অনুমতি দিলাম, সময়ে,
একেবারে প্রথম বোধে , ঘটে যাওয়া প্রতিটি দিনের মতনই


আমি  বেহেশতের আশকারাকে ভয় পাই, আসলেই বড় বেশী ভয়,
বড় হতে থাকা তুচ্ছতায় হারিয়ে ফেলবার মত।
আমি বুনোফুলের অদৃশ্য অভাব বোধটুকুকে আত্মস্থ করে নিজেকে বোঝালাম,
আমি ভবিষ্যতের , শুধু বাঁচবার জন্য।