বছর ঘুরে গেছে সে অনেকদিন
শোকসভার সংখ্যা এখন
হাতেগোনা কয়টি মাত্র
কালে ভদ্রে তবুও সে উঠে আসে
পত্রিকার পাতায়
শুধু নীলাদ্রি আর কখনো কবিতা লেখেনি, কোনোখানে।


যে নীলাদ্রি আকাশের তারাদের সাথে
পাল্লা দিয়ে ঝিকমিক করতো
শব্দের অসাধারণ কিছু মুহূর্তে,
খোলা আকাশময় মশারীর ঠাসবুনোটের ভেতর
সেও কোথাও ফুরিয়ে যেতে চললো,
তোমার আমার জীবন থেকে,
এমনকি রাত্রির জীবন থেকেও।


দিনান্তের সূর্যালোকে দাঁড়িয়ে
দিন বদলের সংগীতকে খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে
বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে,
ওই বোহেমিয়ান ঝোড়ো প্রবল হাওয়া ,
কোনোদিন কুড়িয়ে পাবে নীলাদ্রির
পুরোনো শত লেখা , যা কোত্থাও
খোদাই করা নেই বিস্ময়কর ভাস্কর্যে
অমিত প্রাবল্যে কেউ বলেনা তার কথা।


শুধু খুচরো পয়সার খেরো খাতায়,
মুদীর দোকানের ধবল দুধের আতিশয্যে
গলতে থাকা চায়ের ভেতর কিছু দীর্ঘশ্বাস যেন
কোথাও কাটা ঘুড়ির মতো গোঁত্তা খেতেই থাকে
আর খেতেই থাকে, অব্যক্ত কোনো তাড়নায়।


(অভিযাত্রিক ২০২৪)