এই মুহূর্তে আলো আঁধারির ভেতর আব্ছায়াতে তোমার মুখ অস্পষ্টভাবে মনে পড়ছে। তোমার সিগ্রেটের ধোঁয়া কুন্ডলী পাকিয়ে উড়ে যেত,আদিমকালের রহস্য নিয়ে। আমার তখন কেবল সুকুমার রায়ের সাথে পাল্লা দিয়ে অকারণেই নিজের অজান্তে মনে হত,


আদিম কালের চাঁদিম হিম,
তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম,
ঘনিয়ে এলো ঘুমের ঘোর,
গানের পালা সাঙ্গ মোর।


বিচ্ছিন্ন একাকী দ্বীপের মত একেকটি আখ্যান নিয়ে পথে হাঁটবার সময় ভীড়ের মধ্যে ভীষণ একলা লাগে কখনো কখনো। একলা হাঁটতে হাঁটতে ঝুম বৃষ্টি নেমেছে, আর সেই বৃষ্টির ভেতর অজান্তে  গালের অশ্রুধারা ধুয়ে গেছে আপন গতিতে, এমনি কত দিন চলে গেছে, বিস্মরণের পথে!


মনে মনে ভাবি, নীলাদ্রিকে ভুলে গিয়েছি পুরোপুরি।  ক্ষয়িষ্ণু জীবনের ঘাসে জমে থাকা শিশিরের আয়ুষ্কালে ক্ষণজন্মা মুহূর্তের কথকতা।  দিগন্তরেখায় প্রতিদিনের সূর্যাস্তের আলোর মতোই তাকে রোজ বিসর্জন দেই। বিদায় দেই ,কারণ ধরে রাখতে চাইনা আর, চাই নি কখনোই।


আর চাই নি বলেই হয়তো, অকারণেই পেয়ে যাই, ভুতুড়ে,খাপছাড়া কোনো আবাহনের মুহূর্তে!