টুপটাপ করে পাতার সবুজে যে জলের ক্ষুদ্র কণা ঝরে পড়ে, তার শক্তির সম্ভাব্য সূত্র সম্বন্ধে তোমার ধারণা কি? না কি তেমন কোনো ধারণাই নেই ? আর সব নিয়ে তা কি শুধুই  টিভি স্ক্রিন এর শক্তির নিত্যতা সূত্রে আবদ্ধ হচ্ছে? আজকাল টিভি ছাড়া শহুরে নাগরিক জীবন অচল। সিটি কর্পোরেশন এর সকল নিয়মাবলীর মতোই, নাগরিক জীবনেরও অভ্যস্ত সংজ্ঞায় টিভির ভূমিকা অপরিসীম। বিদ্যুৎ বাতির মতোই অপরিহার্য।  অভ্যস্ত শয্যাসংগীর মতোই, আশৈশব ল্যাপটপ, ট্যাবলেটে যাপিত জীবন। আর সে জীবনে, মেঘেদের ছায়া পড়ে খুব কম, তাদের অগোচরেই ফুল ফোটে, কাঠবেড়ালী গাছের সবুজে চপল ছন্দে ঘুরে বেড়ায় আর, তাদের অগোচরেই হয়তো পূর্ব দিগন্তে আলোর ধারায় উদ্ভাসিত হয় পৃথিবী , কোনো এক ভবিতব্যের আশায়, যা এখনো তাদের হয়ে ওঠেনি।



ঝরে পড়া, কোনো কোনো মুহূর্তে পতঙ্গের শব্দের মতোই, যা দুর্দান্ত তারাখসা আকাশের একটি নিয়তির কণা মাত্র।



নিঃশব্দ এবং অমোঘ।