পদ্য বললো :
আলোক ছায়ার আব্ছায়াতে, তোমার ক্লান্তি স্বরে ভাসে
ভালোবাসার দিন-রাত, তাও, দ্বিধার আয়ু আশা নাশে।
পেয়েও তোমায় পাইনি জানি,সহজ  নয় যে সুতোর জোড়
অসুর জীবন এ চোখ রাঙায়, নির্মোহে সুর শেষের ভোর।  


গদ্য বললো :
তোমায় কখনো বলা হবেনা, তোমার কাছে না পাঠানো আমার ঠিক কুড়িটি চিঠি আছে। আজ নিয়ে হয়তো একুশটি চিঠি জমবে। গলতে থাকা বরফের শরীর উষ্ণতায় ঘেমে উঠলে তার সত্বর সৎকার জরুরী।
দু'বছর বেশ লম্বা সময়,
ভোলবার জন্য অথবা ভোলাবার জন্যও।  
কথার ঝুড়ি নিয়ে কুড়িটি চিঠি আজীবন না ফোটা কুঁড়ির মত অগোচরে থাকবে। পুরোনো জীবনের পুরাতন বোধ, খালি হয়ে যাওয়া কোনো এক ক্রিমের কৌটো যেন, তবুও মৃদু সুগন্ধ ভরা। জানি হয়তো তুমি জানলে হাসবে, বলবে এ কোন নতুন পাগলামীতে পেয়েছে! অথবা হয়তো মিছেই ভাবনা , সব চুকে বুকে যাবার পরেও।
নশ্বর সময় , এবার কোন পালা তোমার ? এবার কোন পুতুলনাচের?
গলতে থাকা বরফের শরীর উষ্ণতায় ঘেমে উঠলে তার সত্বর সৎকার জরুরী।
দু'বছর বেশ লম্বা সময়,
ভোলবার জন্য অথবা ভোলাবার জন্যও।