দিনের বেশীর ভাগ জুড়েই থাকে রোদের জোরাজুরি। রোদের এই খাঁখাঁ দুপুরে বাইরে বেরুবার কোনো উপায়ই নেই। তাই ঘরে বসেই লেখাজোখার প্রস্তুতি চলতে থাকে।


পড়াশোনার বিস্তর ঝক্কি। এতো বছর বেঁচে থাকবার পরও মানুষের সব কথা বোঝবার কৌশল রপ্ত করবার কিছু আবিষ্কার হলোনা , তা নীরব ভাষায় বই আর কতটুকু পারবে? সমাজতত্ব বিষয়ক এক বিষয় পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছে, মাথার মগজ হতাশায় টগবগ করে ফুটছে , একি ভয়াবহ অবস্থা! এক প্যারা পড়বার পরে পরবর্তী প্যারায় যাবার মধ্যবর্তী সময়েই প্রথম প্যারার সকল বোধগম্যতা দূরীভূত এবং পুরোপুরি বিলুপ্ত।


আমার জীবন বিষিয়ে উঠছে হতাশার বিষবাষ্পে , সেই ফাঁকে মনে হলো কোনো এক বন্ধুকে  হঠাৎ ফোন করে চমকে দিলে কেমন হয় ! মন্দ হয় না বোধহয় একেবারেই।


"তুমি আমায় শুভেচ্ছা জানাতে পারো !" বন্ধুটির প্রথম বাক্য।
"ওমা সেকি কথা?  শুধু শুধু শুভেচ্ছা জানাতে যাবো কেন?"
"আমি একটি মেয়ের সাথে সাক্ষাতে আগ্রহ প্রকাশ করছি।  মনে হয় লেগে যাবে!"
হঠাৎ করে আমার কেমন যেন সীল ছাপ্পরের কথা মনে হতে থাকে , এবং মেজাজটাও বিগড়ে যেতে থাকে।
"কেমন করে বুঝলে?" অতি কষ্টে নিজেকে সামলিয়ে বলি।
"এগুলো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার মতোই।  পূর্বাভাস কিছুটা ফলে যায় বটে।  আর পূর্ববর্তী তথ্য তো আছেই !"
"তাহলে তো অভিনন্দন! তোমার জীবনে অচিরেই বৃষ্টিপাত হোক মুষলধারে! " আমি ফোন নামিয়ে রাখি।


সমাজবেত্তা বিশিষ্ট পন্ডিতেরা যে কি বলছেন, তা ক্রমেই দুর্বোধ্য থেকে দুর্বোধ্যতর হয়ে উঠছে। তারা নিজেরাই গবেষণা করছেন, নিজেরাই কথোপকথন করছেন, সাধারন জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন  মানুষের জন্য আর কিছুই  বাকি রাখেননি।  মস্তিষ্ক প্রক্ষালন প্রশিক্ষণ চালিয়ে আপামর মগজ ধোলাইয়ের উচ্চ মার্গীয় তাত্বিক প্রচারণা। তবে উন্নতি হবে কোন ক্ষেত্রে ? বেকুব আমার মাথায় তো ঢোকেনা !


কেবল মনে হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ  বলছেন অনবরত , "ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে ?" আর চাবি কুক্ষিগত এক সামাজিক - কোষ্ঠকাঠিন্য - সমতুল্য ঘোর ইঁচড়েপাকা তাত্বিক পর্যবেক্ষণের মধ্যে।ধুর !


"কেমন আছো, আম্মু ?"
" আমি ভালো আছি বাবা।  তোমার সাথে আমি সবসময়ই ভালো থাকি।  তোমার সহপাঠী হয়ে আবার পড়াশোনা করবার কথা ভাবছি সিরিয়াসলি। "
"কি বললে ? বুঝিনি।" পাল্টা প্রশ্ন ।
" খোকা , তুমি কিরূপে দাঁত প্রক্ষালন করেছো আজকে?"
"ধুৎ! বুঝিনি।"
"বুঝিসনি? ভালো বাংলায় জিজ্ঞেস করছি, দাঁত মাজলি আজকে ভালো করে ?"
"হ্যাঁ,কেন ?"
"না,তেমন কিছু না।  তোর আম্মু  ভীষণ জোরে পড়াশোনা করছে , তাতে করে তার দাঁত খুলে আসবার সম্ভাবনা একশত ভাগ!"
"মানে ? বুঝিনি।"
"আমিও বুঝিনি।  বুঝলে তোকে বলবো।"
" আচ্ছা। "
"এখন কি রেখে দিবি?"
"হ্যাঁ।  ঘুম পাচ্ছে।  আম্মু তোমাকে অনেক ভালোবাসি।"
"আমিও বাসি সোনামনি !"


সমাজবেত্তারা সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছেন এখনো।  আমি ক্ষান্ত দিলাম  আজকের মতো।  ক্ষুদে মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত আমার মগজ ও হৃদয় , ভারী কথা এখন আর মনে হয় ঢুকবেনা।


তাই সই।  দেবতা দেব তা......ইনশা'আল্লাহ।