" বলছি, শোনো।" তোমায় বলি আমি।


সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছা-পোষা এক জীবনের গল্প।  
স্কুল পেরোনো এক কিশোরীর চোখে অনেক স্বপ্ন থাকে ,
বড়ো হবার স্বপ্ন, সফল হবার স্বপ্ন।
বাবা মায়ের জীবনের খুঁটিনাটি কষ্টের অনুধাবন
তার মধ্যেও আছে, এর মধ্যেও সে স্বপ্ন দেখে সফল হবার ,
এর মধ্যেও সে স্বপ্ন দেখে আকাশ ছোঁবার।


তীব্র স্বপ্নেরও প্রবল খরতাপে দাহ হয় ,
ঘটে অবসান সকল বাসনার।  
দিনের পর দিন একই কষ্টের পুনরাবৃত্তি ,
শুধু চলতি পথের সমীকরণে মেলেনা সব সমস্যার সমাধান।


মায়ের চোখে ভালোবাসা গোপন অশ্রুর মতো।  
লুকিয়ে রাখা আচারের বোয়েমের  বাড়তি যত্নের মতো।
বাড়িতে জ্বরে পড়া অসুস্থ ভাইটির কপালে জলপট্টির মতো।
জায়নামাজে বসে , নীরব হয়ে কাঁপতে থাকা ঠোঁটে
উচ্চারিত দোয়ার মতো, আঁধারেতে ঠান্ডায়
জমে যাওয়া শরীর ঢেকে দেয়া কাঁথার ওমের মতো।


অন্ধকারে হাতের মুঠোয় তাসবীহ জ্বলতে থাকে
অব্যক্ত সকল ইচ্ছেগুলোর সবুজাভ আলো নিয়ে।
সে মুঠোবন্দী ভালোবাসায় মা থাকেন , বাবা থাকেন ,
বিনিসুতোয় গাঁথা মনের অজান্তে সকল ইচ্ছের অগোচরে।  


"বেশ হয়েছে!  মন্দ না।"  
কাঁটাচামচে খাবারের টুকরো গাঁথতে গাঁথতে তুমি বললে।
আমি নিরুত্তর , নিশ্চুপ হয়ে চেয়ে থাকি।  
কলম দিয়ে রক্তপাতের বাসনা আজকাল  স্তিমিতপ্রায় ,
স্তিমিত হয়ে আসছে সকল দ্রোহের তীব্র খরতাপও।


একটা আপাতসরল গল্প, একজীবনে বহুবার বাঁচবার গল্প।  
ছা-পোষা সে জীবনের গল্পেও প্রজাপতির মত স্বপ্ন ওড়ে, আজও।