গাঁয়ের নামটি ছিল খুব সুন্দর |
কাজলী নামের সেই গাঁয়ে কোন কোন দিন
আকাশ ছেয়ে যেত কাজল রঙা মেঘে ...
ঝুম বৃষ্টি শুরু হবার আগেই ,
রাখাল মাঠ থেকে ফিরিয়ে  আনতো
গরুগুলিকে, কচি ছানা গুলোকে দেখভাল
করবার জন্য নীড়ে ফিরে আসতো
ভিজে চুপ চুপ মা পাখিটি |


গল্পের এ পর্যায়ে তুমি আমাকে বাধা দিলে
"ভিজে চুপ চুপ ! জ্বর আসেনি পাখি টার ?"
আমি থমকে গেলাম , কথাটা যুক্তিযুক্ত |
তবে আমি আসলেই কথাটার উত্তর জানিনা |
পাখিদের ও কি জ্বর আসে? কখনো জানা হয়নি |


আমি তোমার গালে আলতো আমার আঙ্গুল ছোঁয়াই
তোমার চোখ মুখ ঈষৎ লালচে , কিন্তু তুমি হাসছিলে |
বলছিলে , "মা ,  তোমার হাতগুলো এতো ঠাণ্ডা কেন?"
আমি, সেই ঠাণ্ডা হাত গুলো দিয়ে তোমার শরীর কে
আঁকড়ে ধরে হু হু শূন্যতাকে পাশ কাটাতে কাটাতে
শান্ত স্বরে বলছিলাম, "কাজলীর গল্পটা শেষ করবো না ?"


আমাদের সকলেরই গন্তব্যস্থান থাকে, থাকে যাত্রাপথের নিশানা
এই মুহূর্তে আমি তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে আমাকে দেখছিলাম
আর দেখছিলাম, আমাদের গন্তব্যস্থল আসলেই এই মুহূর্তে এক ও অভিন্ন  |
কাজলী , তুমি ফুরিয়ে যাবে কি পৌঁছুতে পৌঁছুতে? আমরা যে আসছি তোমার কাছে !