উৎসর্গ - সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম


আমার অনেক পাখির ভেতর
একটা পাখির মায়া ছিল, ছায়া ছিল, উন্মাতাল  
চোখের ভেতর জল টলটল,
ভরা শ্রাবনে দেখতে থাকা থৈথৈ তাল , জাফলং কাল


তোমার সকল চাওয়া পাওয়ায়
নিত্য রাজে, তারাখসা সকল সুরের চলতি হাওয়ায়
সৃষ্ট সুরের নিষাদ কুঁড়ি,
পাথরকুচির
পাতাবাহার,জন্মকালের শৌর্য নিয়ে জন্ম চেনায়


আমার অনেক পাখির ভেতর
একটা পাখির মায়া ছিল, ছায়া ছিল, সেই নীপবন।  


আমায় তুমি দুঃখ চেনাও,
খুঁদ কুড়ো ভাত, দুঃখদিনের , বান্ধব সুরের তিক্ত আঁচে ,
জানবে সেও সফেদ তবু
তোমায় লয়ে মোহন কালীন বসুধা কাল , লয়ে নাচে


ক্ষ্যাপা সুরে, প্রলয় যখন মোচন সবে,
সৌর দীপের নিভু নিভু  
বুধ শুক্রের ছায়ার ভেতর বাস করে সে
মাঙ্গলিক কোন অভাববোধের
ছায়ার মতন দুঃখবোধন
অহর্নিশি ঘোর প্রতিভূ।


আমার অনেক পাখির ভেতর
একটা পাখির মায়া ছিল, ছায়া ছিল, সেই নীপবন।  


আমার অনেক সহজ গামী সত্য কেন, এই অনুক্ষণ
বহুগামী দুঃখদিনের দহন সয়ে
ছায়ার মতন দুঃখবোধে লয়ে লয়ে
জলের ভেতর একা একা, বিস্মরণের অনুচ্চারণ ?


আমার অনেক পাখির ভেতর
একটা পাখির মায়া ছিল, ছায়া ছিল, সেই নীপবন।