উৎসর্গ : জিয়ানার শৈশবকে ,


কিছু কিছু আনন্দের অশ্রুতে তুমি থাকো ,
এখনো
অনেক আগের ফেলে যাওয়া বাঁশির সুরে,
থাকো
অবেলায় বৃষ্টি এলে,
থাকো
ভিজে চুলে তোমার এলো শাড়ীর
সরু পাড় টা যেন মেলে ধরে আদিগন্ত আকাশ ,
চেনা শৈশবের আকাশ |    


পাশের বাড়ীর মেয়েটা
খুব কাঁদছিল কাল , ডুকরে ডুকরে...
সারাদিন মান তার কান্নায়
আমিও  খুব অস্থির ছিলাম ,
আনমনে বলছিলাম ,"ঠিক হলো কি বলো তো ?"


আমি উত্তর প্রত্যাশা  করিনি কখনো  |
পড়শির এখানে অনেক গোত্র ভেদ ,জাত পাত - বাছা বাছি
বিনা কারণে বিনা সখ্য তায়
কেউ কারু আলাপচারিতায় অংশ নেয় না বোধ হয়,
তাই শিখে যাচ্ছি আমিও ঠিক...
নিজের  প্রশ্নের তাই কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারিনি,
সঠিক উত্তর নেই বলে বোধহয় |
মেয়েটার মুখের আদল অনেকটা ছোটবুবুর মতো,
ছোট একটা নাকফুল তার নাকে ঝিলিক দেয় |


সন্ধ্যার মুখে এম্বুলেন্স এলো, পাশের বাড়িতে
মেয়েটির কিছু হলো কিনা, বড়ো অস্থির লাগছিল
কখনো তাকে বলা হয়নি, মাঝে মাঝে আমি তাকে স্বপ্নে দেখি
স্বপ্নে দেখা মানুষের সাথে বাস্তবে কখনো দেখা হয়না, আদৌ
মেয়েটির মুখের আদল  ছিল ছোটবুবুর মতন ,
ছোটবুবু খুব ছোটোবেলায় মারা যায়
তার সাথেও আমার চেনা জানার সখ্যতা স্বপ্নের ভেতর ,
দীর্ঘ , গাঢ় নিদ্রার ভেতর,  
মেয়েটির কিছু হলো কিনা জানতে বড়ো ইচ্ছে করছে !
আজ, এই মুহূর্তে !


তারে বসে দুটো পাখী, ভিজে চুপচুপে , নীরব, অপেক্ষমাণ
সংকোচহীন, কুণ্ঠা হীন
সভ্যতার অনেক সামাজিক সংকট , মানুষের ভেতর পরিচয়ে
অনেক শব্দের ডামাডোল
সেখানে বাড়িয়ে দেয়া হাত কে ছুঁতে কষ্ট হয়, অবিশ্বাসের দোটানায় |


আর সেখানে আমার জন্য বোনা
কিছু কিছু আনন্দের অশ্রুতে তুমি থাকো ,
এখনো,
অনেক আগের ফেলে যাওয়া বাঁশীর সুরে,
থাকো ,
অবেলায় বৃষ্টি এলে,
থাকো |


২৪ মে , ২০২১
এডিনবার্গ