এই ঘাটে রাখো নাও
(বিলিরিক ধারা চার)


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


আনকাজে মাতি আমি, দুপুরের খরোবেলা,
আবেগের মাঠে বসে, করি শুধু নানা খেলা,
ধীরেধীরে দিন যায়,
সময়ের খেয়া নায়,
জীবনের আঙিনায়, সুখপাখি চেয়ে চেয়ে,
জীবনটা গেলো চলে, ঘাতাঘাত খেয়ে খেয়ে।


দু'দিনের হাসি খেলা, সূরবসনার তলে,
ভুলে গেছি এই কথা, যৌবনের কতুহলে,
বাগানের ফুল দেখে,
ভ্রমর হয়ে রেণু মেখে,
রীতিনীতি দূরে রেখে, কাজ করি মনমত,
কখনও করি নাই, এতটুকু শির নত।


বেহানের দ্বোর খুলে, দিয়েছেন পর যিনি,
বারেবারে হৃদি মাঝে, দিয়েছেন সাড়া তিনি,
অবহেলা করে তারে,
আছি একা কারাগারে,
দেখি আজ চক্ষুসারে, দূরাগত নয় রাত,
সারাখন দেখি শুধু, নিয়তির কালো হাত।


কে-বা যাও তরী বেয়ে, নেও এসে কৃপা করে,
সাথীহারা হয়ে আছি, সব গেছে দূরে সরে,
সাথে আছে কাজফল,
আর আছে চক্ষুজল,
এই হৃদিশতদল, মনমাঝি নিয়ে যাও,
দয়াকরে শেষবেলা, এই ঘাটে রাখো নাও।


৩-৭-২০২০ইং
বাংলা
১৮ই শ্রাবন ১৪২৭
সোমবার
সময়
বিকেল ৪ ঘটিকা।