বাসন্তিকা


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


বাসন্তিকা
বসন্ত বাগানে পারিজাত ফুল তুমি ,
সু-কোমল পাঁপড়ী দোলে
ঝরিঝিরি বাতাসে
গন্ধমূখর প্রাণ-তারা বন ।
মিষ্টি মধুর ছোঁয়ায় ফোটে
ফাগুনের আগুন ফুল ,
সে ফুলের মালা গাঁথে
তুলতুলে মরমি হৃদয়
মশ্রিন মনের সূতোয় ।
বাসন্তিকা
রেণূ মাখা নিবিড় পরশ বুলায়
অদেখা প্রজাপতি ,
সৃষ্টি হয় অমিয় প্রেমের বিজতলা
স্বপ্ন-পুরির মাটিতে ।
ইচ্ছার নদীতে ঢেউয়ের মাতন
জলবেণী পাক
নবিন উদ্দাম ,
ভাঙ্গে ঐশর্য্যের গিল্টি করা পাড়
ভুলায় ঐহিক প্রেমের ঠিকানা ।
বাসন্তিকা
চলে গেছে বহুদিন পারদি সময় মাড়িয়ে
উঁড়াল কষ্টে প্রাণ-তারা বনের পাখি ,
শব্দহীন আর্তনাদে করে বালু স্নান
জীবন মরুর ইতিকাবেলা ।
বাসন্তিকা
ভোল ভোল ভোলা যায় না ,
মৌ মৌ মহুয়া হাওয়া উত্তাল করে
স্মৃতির সাগর ।
দোল দোল দোলায় নিয়ে যায়
নির্মম সত্যের ছাঁদনাতলার বাসরে
বাধাহীন সাদা ভালোবাসায় ,
একাকার হই আমরা দু'জনে ।