বিলিরিকরথ
( বিলিরিক-এর ধারা তিন
কাঠামো তিন )


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


চলে গেছে বহু দিন, দুনিয়ার মজে কাজে ,
ঢলে গেছে আয়ূরবি , মরণের বীণা বাজে ।
যতক্ষণ ছিলো বেলা
ততক্ষণ করি খেলা,
নেয়ে সাজি পেয়ে ভেলা , পন ধরি নিশিদিন ,
বেয়ে তরী  চাপা খালে, দেহটাকে করি ক্ষীণ।


ভোর হোলে সারাখন, বিজধান ছিলো কাছে ,
দোর এনে গেছে সব , খালি ঘর শুধু আছে,
যারা সাথী দিন ভর,
তারা ভাবে আজ পর,
দূরে সরে মারে শর, দারা আজ হলো অরি,
ঘুরে মরি চক্ষুজলে,  একা একা বেয়ে তরী।


বেলা গেছে  দেখি পাটে, রবিটাকে খাবে রাত,
খেলা শেষ  হবে বুঝি , দেখি যম - কালো  হাত,
পারে আয় শুধু  ডাকে
বারেবারে বাকে বাকে,
ভুলে গেছি আমি  তাকে , দারে মরি  আনি কাল ,
খুলে গেছে সব বেড়ি , চলাচলে নেই তাল ।


আজ একা নিরুপায়, সাথী নেই শেষ বেলা,
কাজ শেষ খালি হাতে, পারে যেতে বাধা মেলা,
শতশত ঝরে ফুল ,
যত খেলা সব ভুল,
দেশ যাবে গেছে কুল, গত হবি মন বলে  ।
শেষ বেলা কবিমন  বিলিরিকরথে চলে।
--------------------------------------------------------------------


উপরের লেখা উল্টালে কি হয় দেখুন


বিলিরিকরথ
(বিলিরিক ধারা তিন
কাঠামো তিন)


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


কাজে মজে দুনিয়ায় , দিন বহু গেছে চলে  ,
বাজে বীণা মরণের , অয়ুরবি গেছে ঢলে ,
বেলা ছিলো যতক্ষণ,
খেলা করি ততক্ষণ ,
নিশিদিন ধরি পন , ভেলা পেয়ে সাজি নেয়ে,
ক্ষীণ করি দেহটাকে, চাপা খালে তরী বেয়ে ।


কাছে ছিলো বিজধান , সারাখন হোলে ভোর ,
আছে শুধু ঘর খালি , সব গেছে এনে দোর ,
দিন ভর সাথী যারা ,
পর আজ ভাবে তারা ,
অরি হলো আজ দারা , শর মারে  সরে দুরে
তরী বেয়ে একা একা , চক্ষুছল মরি ঘুরে ।


রাত খাবে রবিটাকে, পাটে দেখি গেছে বেলা ,
হাত কালো-যম দেখি , বুঝি হবে শেষ খেলা ,
ডাকে শুধু আয় পারে ,
বাকে বাকে বারেবারে ,
কাল আনি মরি দারে , তাকে আমি গেছি ভুলে ,
তাল নেই চলাচলে , বেড়ি সব গেছে খুলে ।


বেলা শেষ নেই সাথী , নিরুপায় একা আজ ,
মেলা বাধা যেতে পারে , খালি হাতে শেষ কাজ ,
ফুল জরে শতশত ,
ভুল সব খেলা যত ,
বলে মন হবি গত , কুল গেছে যাবে দেশ ,
চলে বিলিরিকরথে , কবিমন বেলা শেষ ।