বিশ্বাস করবে না কেউ সত্য


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


গাঁ থেকে শহরে গেলাম বকুলদি
কাজ পাই পাকের ঘরে,
প্রতি দিন সাবধানেই
খাবার দেই খেপা কুকুরকে
বেশ ছিলাম।
একদিন রাতে খাবার ছিলো না
আমাকেই খেতে চায়,
আমি জানি
জলাতঙ্ক বিষ নিয়ে ঘোরে
কুকুর প্রজাতি।
সুজোগ বুঝে ছদ্মবেশ পালিয়ে আসি
তোমার কাছে,
কিন্তু
এখানেও কুকুরের ডাক শুনি,
আমি লক্ষী হোতে চাই বকুলদি
ওরা লক্ষী হোতে দিলো না,
অথচ
লক্ষী কিনে লক্ষী পুজা করে
পুজা শেষে দেয় বিসর্জণ,
বড় ব্যথা বুকে।
এই দেখো বকুলদি
গঙা স্নান করেছি,
গঙা স্নানে নাকি দেহ-মন পবিত্র হয়,
বিশ্বাস করো
এইতো চুল ভিজে, কপাড় ভিজে
এবার আমায় পুজোর ঘরে
যেতে দেও,
দেবে না,
চুপ কেনো বকুলদি
তুমিতো পুজরিণী
কার পুজো করো স্বামী দেবতার না
মাটির প্রতিমার ?
তুমিইতো বলতে
স্বামী হোলো নারীদের পরম দেবতা,
এখন দেখি মাটির প্রতিমা
তোমার নিকট বড়,
বাঃ বকুলদি!
অলক্ষী খেপেছে পুজো হয়নি বলে।
প্রেমতলায় মেলা বসেছে
যাবে দেবতা কিনতে
শুনলে না শহর থেকে দেবতা এসেছে
যাবে না!
কেনে যাবে না
তোমারও কি দেবতার ভয়,
না ভয় নেই,
কারণ
ওদের আমি চিনি,
কিন্ত
কেউ আমার কথা বিশ্বাস করবে না সত্য।


২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯
শুক্রবার
সময়
রাতঃ- ৯ ঘটিকা
গ্রন্থঃ-
বর্ণমালায় আঁকা কবিতার ছবি।