ধারা উল্টে গেলে রাধা হয়


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


জীবননোদির সাধারণ ধারাটাকে
এখনও আমি উল্টাতে পারিনি,
পারলে হয়তো রাধা ধারায়
প্রেমসাগরে প্রাণের তরী বেয়ে
বিশ্ববন্ধুর ঘাটে যেতে পারতাম
কিন্তু
বসন্তের ফাগুন হাওয়ায়
জীবন নোদিতে উঠে
ডানগাল উপকূলের ঢেউ
জলতরঙ্গে অঙ্গ দোলে
তার পর
ভুলের মালাকে ফুলের মালা ভেবে
পরি গলে,
চাকরি করি
আনো-দেও কোম্পানিতে,
যদিও
আধ্যাত্ব বৈজ্ঞানিক দৃড় কন্ঠে বলছেন
আনন্দ সাগরে তরি বায়ে যাও
আনন্দকে ধারণ করে।
শুধু সৃষ্ট উল্লাসে
বীজতলায় যাও
দেও আনন্দেকে  বিসর্জণ।
নইলে জীবনটা হবে
আঁধার বাসির আবাস ভুমি।
এখনও যে বীজ সৃষ্টি করতে পারেনি
কোনো বৈজ্ঞানিক
বা
মানব জাতি।
সেই বীজ
পরম-বৈজ্ঞানিকের দান
সেই দানকে ক্ষণিক আনন্দে ধংস্বযজ্ঞে
মেতে থাকি,
এটাই জীবনের সব চেয়ে
বড় ভুল।
আমি বুঝনি
মরণ ধরায় দেয় আনন্দ,
সে আনন্দকে ধরে
ঘনভুত করলে প্রকৃত প্রেমের জন্ম হয় ,
আর
প্রেমের ঘনিভুত রূপ-ই পরম প্রেমময়ের রূপ।
এই পৃথিবির সকল সৃষ্টির মূলে
সেই পরম স্রষ্টা প্রেমময়।
একথা ভুলে
দক্ষিনার পিঙ্গলা বাতাসে
প্রেম সাগরে প্রাণেরতরী খুলে
আকালে যাচ্ছি ব্লাকহোলে।
আত্মার অস্তিত্ব
না খুঁজে
খুঁজে মরি জাগতিক জগতে
আত্ম সুখের ঠিকানা
কখনও
আধ্যাত্বিক চিত্রকর হয়ে আঁকি না
নিজের ছবি
যিনি নিজের আঁকেতে পারেন
তিনি-ই বলতে পারেন
" আমার ছবি আঁকতে আমি
তোমায় এঁকেছি
নিজ ঠিকানা খুঁজতে তোমার
ঠিকানা পেয়েছি।
তোমার আমার এত-ই মিল,
গভীর ভাবে আছে অনাবিল,
তোমার-ই ছবি বিশ্ব নিখিল,
তাই-তো জেনেছি।। "
তাই-তো কবিতা
রাই বেলায় প্রেম জোয়ারে
রাধা ধারায় প্রাণেরতরী বেয়ে
হোতে চাই বিশুদ্ধ
প্রেম বৈজ্ঞানিক।