জব্বর খবর


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


জব্বর খবর শুনলাম আজ কানে
ভাবুক এ মন ভাবনার গানে গানে
নীলাকাশ পানে , যায় ছুটে যায় শুধু   ,
আলোর তরঙ্গ  , করছে ভিষণ খেলা
তবুও রয়েছে আঁধারের এক ভেলা
শুধু সারাবেলা , দুই চোখে তাই ধূধৃ ।
শুন্যের বলয় হয়নাকো শেষ আর
ব্লাকহোলে দেখি  সীমাহীন অন্ধকার
নদ ও নোদিটার , অপরূপ এক কৃষ্টি ,
জলবেণী পাকে ভাঙ্গে তার দু'টি কূল
বনে বনে দেখি  অনেক রঙের  ফুল
দুষ্ট অলিকুল , দুই চোখে বাঁকা দৃষ্টি  ।
ঠিকানা বিহীন কচি কচি শিশুভোর
ডাস্টবিনে কাঁদে খুলে কার লাজদোর
মনে নাই জোর , নিয়ে যাবো ঠিকানায় ,
কাব্যের হরিণ  দেখি আজ শতশত
বালুকার বনে দিনরাত অবিরত
ঘুরে মনমত , মিছে ফল্গুবাসনায় ।
হরিণীর সাথে, থাকে শুধু অভিসারে
ভেসে যায় তাঁরা ছলনার পারাবারে
মরে একেবারে,  প্রেমের আগুন জ্বেলে,
আগুন নিভাতে হৃদয়েকে করে খুন
কাটাঘায়ে শেষে হেসে হেসে দেয় নুন
নিভায় আগুন, কামনার জল ঢেলে ।
মানুষ আজিকে মানুষের যমরাজ
মন মাঝে শুধু কালো কালিমার ভাঁজ
শিরে প্রেম তাজ , সারাক্ষণ নিয়ে থাকে ,
টাকা বল নিয়ে ,  বস করে সব তারা
বোবা করে দেয় বিচারকের সু-ধারা
দিনে দেখে তারা,  কল্পনার ফাঁকে ফাঁকে ।
জীবনটা আজ , নিরুপায় গতিহীন
সবলের কাছে হয়ে আছে পরাধীন
ব্যথা ভরা বীণ , হৃদয়ের মাঝে বাজে,
কত দিনে হবে কাব্যময় এই দেশ
কত দিনে হবে কুমনেরগার শেষ
কবে সুখ রেষ , পাবে এই হৃদিরাজে ।