কেই আসবে না আর


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


কেউ আসে না  হৃদয় নিংড়ানো
প্রেম দিতে,
আসে উলঙ্গ ভ্রমর
যৌবন ফুলের মধু নিতে।
এইতো সে দিন সুগভীর চাপা খালে
প্রথম বান ডাকে
ঢেউ তোলে বসন্ত বাতাসে
প্রেমের সফিন হয়ে আসে মনতটে,
সে এক প্রেমের পাঁচালি।
আমার আঙিনার গা ঘেসে যায়
শীতান্তের দখিনা বাতাস,
বাতাসের তরঙে ভেসে আসে
মায়াবি মরু-হরিণ,
আমি হরিনী হোয়ে চাই
কিন্ত
রৌদ্রমালির আগুন ঝরা রাগে
প্রেমাশিক্ত ফাগুনভুমি হয়ে যায়
নীরস বালুকার মাঠ ।
পৌষের কান্না আমি  দেখেছি
ঘাসের ডগায়
আরো দেখেছি
তার গভীরে তার প্রিয়তমের ছবি
তবুও
শেষ করে দিলো প্রখর তাপে
নির্মল শিশিরপ্রাণ,
হায়রে ভালোবাসা
মন থেকে দেহের দাম বেশি করে দিলে।
তাই
কেই আসবে না আর
আমার প্রেম-হরিণীর সোয়ারি হয়ে
সন্ধ‍্যাগ্নি জ্বলা বসন্তবেলা শেষে।