কবি বা লেখক হওয়া হলো না আর


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


অসহায় আলোর তরঙ্গমালি
মেঘের জেলখানায় কালাতিপাত
করছে,
কিছুই করার নেই তার
এখনো জানা যায়নি
কার বিরহে কাঁদে মেঘ দিনরাত।
তাইতো শব্দে শব্দে বর্ণমালা সাজাই
কিন্তু
কবি বা লেখক হতে পারিনি।


নদী রেতবেগে বয়ে সাগর সঙ্গমে
মিলনে নদীরজল হয়ে যায় সাগরবারী
এখনো জানা হলো না
কেনো স্ফীতি হয় না জল-তরঙ্গমালী
অথচ
জোয়ারে নদ-নদীকে ভরে দেয়,
চদ্রিমার ভালোবাসায়।
কেমন এ ভালোবাসা
আজও জানা হলো না।
শুধু জল-তরঙ্গের রঙ্গ দেখে
শব্দে নিয়ে করি খেলা
তবু
কবি বা লেখক হতে পারিনি।


প্রেমে  এক সুনির্মল দিক আছে
সে দিকটা আজও বুঝতে পারিনি
শুধু হৃদয় অব্যক্ত ভাষা ব্যক্ত করি
গাদা গাদা সাদা পাতা কালো কলিতে
এখনো আমি
কবি বা লেখক হতে পারিনি।


জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অশ্রুমালায়
ঘুচাই জ্বালা ।
অজানাকে জানা হলো না ,
জানা হোলো না নিজেকে
তাই
নামের পূর্বে কবি বা লেখক
লেখা হলে না আর ,
কবি বা লেখক হতে পারিনি
এখনো,
কী করে হবো
শুধু মনের মাঝেউঁকি মারে
নিয়তির সঙ্গে হবে ফুলশয্যা,
অদূরাগত এ কথার বিজলীরছটা
লাগছে এসে মনেরকোণে।