কবি-সংসদ


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


মাননীয় স্পিকার
ভালোবাসা জীবনকে সুন্দর করে
যেমনটা সত্য,
তেমনই সত্য মানুষের পথে চলা
বাতাসের ভালোবাসা পেয়ে
নদ-নদী মেতে উঠে ঢেউএর দোলায়,
কূল ভাঙ জলবেনী অনুরাগে
সাগরকে ভালোবেসে।
যে নদীতে জল দোলা নেই,
নেই হরিনী গতি
তাকে মরা নদী বলে,মাননীয় স্পীকার
নদের বেলায়ও ঐ একই কথা ।
জীবন নোদিতে যৌবন যোয়ারে
ভালোবাসার বাতাসে  ঢেউ না হলে
সে জীবনও মরা জীবন,
মরা জীবনের কি দাম আছে বলুন,
তাই
জীবন কে গতিশীল রাখতে
কবিতাকে ভালোবাসি
ধন্যবাদ স্যার।
এবার কবিতা বলে
মাননীয় স্পীকার
ভালোবাসা আজ নেই ,
আছে শুধু নিশিদ্ধ চাওয়া-পাওয়া,
তাই
আমি বলবো ভালোবাসা আজ শুধু
মাকাল ফল,
মূলতঃ ভালোবাসা
দিয়ে সুখি, পেয়ে সুখি না,
প্রেম,  প্রীতি,  ভালোবাসা আজ
কিছু পাবার অজুহাত,
কলঙ্ক যুক্ত মৃত্যুর হাতিয়ার।
অসম বর্ণ ভালোবাসা
এখনও সমাজে স্বীকৃতি পায়নি
মাননীয় স্পীকার।
বসন্ত এলে বনেবনে ফুল ফোঁটে
ভ্রমর ফুলকে ভলোবেসে মধু লুটে চলে যায়,
ধীরেধীরে সে ফুল ধূলায় ঝরে পড়ে,
এ ভালোবাসার কি দাম আছে বলুন
মাননীয় স্পিকার ,
এ প্রশ্ন রেখে আমি বিরতি নিচ্ছি।
এবার কবি-কুমার  বলে
মাননীয় স্পীকার,
বসন্তের প্রেম ছোঁয়ায় ফুল ভ্রমরের মিতালী হয়,
ফুলে ফলে ভরে যায় দেশ,
সৌরভে সুরভিত হয় পৃথিবী
এটিই ভালোবাসার পরিনাম
প্রেম,প্রীতি,  ভালোবাসা হলো
জীবনের রোমান্টিক অনুভূতি
যে অনুভুতি জীবনকে সাজায়,
এবং মানুষকে করে সুন্দর।
তাই আমি কবিতাকে  ভালোবেসে
জীবনকে সুন্দর করে
সাজাতে চাই ,
এ আবেদন রেখে আমি শেষ করছি
মাননীয় স্পিকার ।
এবার কবিতা বলে
এ আবেদন পাশ করবেন না স্যার,
কারন
এখনো ভালোবাসায় আছে
পরিবারতন্ত্র, বর্ণতন্ত্র, ব্যক্তিতন্ত্র,
এবং স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসায় আছে স্বামীতন্ত্র।
ভালোবাসা এখন নগ্নতায় ভরা
ইচ্ছার পুতুল।
দুঃক্ষের সাথে বলেতে হয় মাননীয় স্পীকার
ডাস্টবিনে ভালোবাসার ফসল থাকে
কাকের খাবার হয়ে
সে ফসল যেতে পারেনা নিজের ঘরে,
তাই আমি বলি
ভালোবাসা আজ ইমেজী কলমের সাদা কালির
লেখা শব্দমালা,
মানবতন্ত্র হারিয় গেছে ভালোবাসার উগ্র আঘাতে।
আমার অনুরোধ
মাননীয় স্পীকার
পাশ করুন মানবিক ভালোবাসা
তাহলে পৃথিবী হবে কাব্যময়
কবিতা থাকবে কবির হৃদয় গভীরে,
তাহলে পৃথিবী হবেনা
অমানবিক রণক্ষত্র
ধন্যবাদ মাননীয় স্পিকার।