মনোপীড়া
(বিলিরিক ধারা তিন
কাঠামো দুই সর্বোত্তমমিলে লেখা)


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


ভালোবেসে দিলে তুমি,  নিদারুণ  যমশূল,
দুনিয়ার মাঝে আজ, চলে গেছে সব কূল,
দুখ নাশে সারাক্ষণ,
দিবানিশি করি রণ,
মন মাঝে আছে পণ, পাবো সুখ সুধাবীণ,
ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাক তনু, মনবল নয় ক্ষীণ।


নাম জপে ঝরে যাক, নয়নের সব নীর,
ভালোবেসে অবিরল, আমি শুধু রবো ধীর,
আছো তুমি বহু দূর,
জীবাকাশে ডুবে সূর,
দুূ'টি চোখে শুধু পূর, ঝরে আজ রাশিরাশি,
হয়ে গেছে চুরমার, মনটার খোলা শাশি।


বিরহের অনুভায়, নেই কোনো দিগদাড়া,
দিনরাত সারাখন , খাই আমি যমতাড়া,
জীবনের এক লক্ষ,
পাবো সেই চানপক্ষ,
জীবনের অমাকক্ষ, হবে নাকি বলো শেষ,
নিশিদিন পথ পানে, চেয়ে আছি অনিমেষ।


দূরে থেকে করো তুমি, জীবনের সব কীড়া,
ভালোবেসে হয়ে গেছে, নিদারুণ মনোপীড়া,
ফেলে আসা সব রেশ,
শেষ নেই আছে বেশ,
অহৈতুকি ছাড়া দেশ, তুমি বিনা হয় মূলে,
তাই আমি একাএকা , বসে আছি যমশূলে।