ইচ্ছার আগুনে পোড়াতে চাই ফুল বাগাণ
কিন্তু পারি না,
মনে পরে কুমারী মায়ের কথা বড় অসহায়
তারাফুল শোভা বাড়ায় অন্ধকার রাতে
আমি সেই কম্পিত আলোর পুলক।
কলঙ্কিত ইতিহাসের নায়ক খুঁজি-
রঙ্গিন চশমা পড়া,
উপ-চোখে ঢাকা সর্পমনি।
মেঠ পঠো পথে হেটে আসা শহুরে যুবক আমি-
ঠিকানাহীন গন্তব্য খুঁজি
হৃদপিন্ড ছুঁয়ে যায় কটাক্ষ বাতাস
নির্দোষ তবু দানব প্রজাপতি।
মানবিক ইউনিভারসিটির ছাত্র আমি-
বলাৎকারের ফসল,
এখনো স্বীকৃতি পায়নি মুখপোড়া সূর্য্যমুখী।
আলোর ভাঁজে কলঙ্ক চিহৃ
সৌর-কলঙ্কের সৃষ্টি আমি অভিসপ্তো জন্জাল ।
নদীকে ভালোবেসে মাঝি হতে চাই
সাজাই বেওয়ারিশ না'খানি
খেপে ওঠে নদী আত্ম-মান বাতাসে
আমি সেই ছেলে পরিহাসের আগুনে
পুড়ে পুড়ে নিখাদ।
কেই বোঝে না কবিতাকে ভালোবাসি কত?
অক্ষরে অক্ষরে সাজাই কবিতার শরীর
কবিতা হয় অশরীরি আত্মা
কাব্যনীতির ছন্দহারা আন্দোলনে।
আর কত কবিতা ক্ষত-বিক্ষত হবে-
সে ক্ষত সারতে আজ ফাঁসীর আসামী
ফাঁসীর মঞ্চে আমি সেই হতভাগ্য যুবক
কেউ করেনি আপিল মানবিক আদালতে
এই দেখ মা আমি আসছি-দীঘল অন্ধকারে তোমার আঁচল পাতা কোল শুতে।